সংক্ষিপ্ত

হরিয়ানার আম্বালার এক যুবতী যা করেছেন তা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। পাশাপাশি চিরাচরিত সব ধারণাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ওই যুবতী।

বিয়ে মানে হচ্ছে কনের লাজুক লাজুক মুখ, আর বরযাত্রী (Baraat) নিয়ে বরের (Groom) বিয়ে করতে যাওয়া। সাধারণত কনেকেই বিয়ে করতে যান বর। আর বিয়ের পর্ব মিটিয়ে তিনি নববধূকে (Bride) নিয়ে যান নিজের বাড়িতে। সাধারণত বিয়ের এই রীতিই প্রচলিত রয়েছে দেশে। কিন্তু, হরিয়ানার আম্বালার (Ambala) এক যুবতী যা করেছেন তা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। পাশাপাশি চিরাচরিত সব ধারণাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ওই যুবতী। 

বিয়ে (Marriage) বাড়ি মানেই এখন আনন্দ, ঠাট্টা। যেন একটা বড় উৎসব। কয়েকটা দিন পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে মিলিত হওয়া। আর সেই অনুষ্ঠানে অনেক সময়ই কিছু না কিছু মজার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী হয়ে যায়। মুঠোফোনের যুগে এরপর সঙ্গে সঙ্গে তা পোস্ট করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। আর কে দেখে! মজার সেই ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল। তেমনই একটি বিয়ের ভিডিও সামনে (Viral Video) এসেছে। এই ভিডিওটি আম্বালার।    
 
কী এমন করেছেন যুবতী? 
ঘোড়ার উপর হাতে তরোয়াল (Sword) নিয়ে বসে রয়েছেন যুবতী। তাঁর নাম প্রিয়া অগরওয়াল (Priya Aggarwal)। আর তাঁর পাশে রয়েছেন তাঁর বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। প্রিয়ার ঘোড়ার (Horse) পিছনে রয়েছেন কনেযাত্রীরা। চোখে সানগ্লাস দিয়ে পরনে হলুদ ল্যাহেঙ্গা ও মাথায় পাগড়ি পরে বিয়ে করতে যান তিনি। আর তাঁর এই কীর্তি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনদের অনেকেই। 

আরও পড়ুন- ছবি তুলতে গিয়ে বরের কোলেই পড়ে গেলেন তাঁর বন্ধু, মুচকি হাসি কনের

কেন এই সিদ্ধান্ত? 
এনিয়ে প্রিয়া জানিয়েছেন, ছোট থেকেই তাঁর এভাবে বিয়ে করতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। আর এবার তাঁর সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। বলেন, "সাধারণত ছেলেরা বিয়ে করতে আসেন। কিন্তু, আমাকে ছোট থেকে ছেলেদের মতো করে বড় করা হয়েছে।" তবে শুধুমাত্র প্রিয়াই নন। চিরাচরিত ধারণাকে ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন প্রিয়ার বাবা নরিন্দর অগরওয়ালও। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। তবে তাঁদের এই সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না পরিবারের অনেক সদস্যই। যদিও কারও কথায় গুরুত্ব দেননি নরিন্দর। 

আরও পড়ুন- নাচতে নাচতে বিয়ে করতে গেলেন কনে, যুবতীর ছকভাঙা ভাবনার প্রশংসায় নেটিজেনরা

প্রিয়া একজন আইনের ছাত্রী। এমনকী, তাঁর ওকালতি পড়া নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন পরিবারের অনেকেই। বলেছিলেন, মেয়েদের ওকালতি পড়ার কোনও প্রয়োজন নেই। সেই সময়ও বাবাকে পাশে পেয়েছিলেন প্রিয়া। এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, "আমি ছোট থেকে ওকালতি নিয়ে পড়তে চাইতাম। তখন অনেকে বলেছিলেন মেয়েদের ওকালতি পড়ার কোনও প্রয়োজন নেই। সেই সময় আমার বাবা পাশে ছিল। আর আমি যাতে ঠিক ভাবে ওকালতি পড়তে পারি সেই বিষয়ে নিশ্চিত করেছিল।"

আরও পড়ুন- ভারী লেহেঙ্গায় নয়, বরং রাত-পোশাকেই সাতপাক ঘুরতে চান কনে