সংক্ষিপ্ত

  • আন্দোলনকারী কৃষকদের অনড় মনোভাব 
  • দিল্লিতে আত্মঘাতী আরও এক কৃষক 
  • হরিয়ানাতে অনুষ্ঠান বাতিল মুখ্যমন্ত্রীর 
  • কৃষকদের আটকাতে কাঁদানে গ্যাস পুলিশের 

কেন্দ্রীয় সরকারের আনা নতুন তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লিতে এখনও আবস্থান বিক্ষোভ চলছে অন্নদাতাদের। দেড় মাস পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় কৃষকরা। এখন শুধু আন্দলন আর দিল্লির সীমানাবর্তী এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই। এই অবস্থায় রবিবার তীব্র কৃষক আসন্তোষের সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে বাতিল করতে হল তাঁর পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি কিষান মহাপঞ্চায়েত। অন্যদিকে দিল্লিতে আন্দোলনের মূল কেন্দ্রে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন এক কৃষক। 

রবিবার হরিয়ানার কর্ণাল জেলার কইমল গ্রামে কৃষান মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সভা শুরুর আগেই নতুন তিনটি কৃষি আইনের বিরোধিতা করে সেখানে জড়ো হয়েছিলেন প্রচুর কৃষক। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান। অনুষ্ঠান মঞ্চ ভাঙচুর চালান বলেও অভিযোগ ওঠে। তারপরই আন্দোলনকারী অন্নদাতাদের রুখে দিতে তৎপর হয় প্রশাসন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল পাঠায়।  

আগে থেকেই কৃষকরা জানিয়েছিল তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের প্রতিবাদ করবে। আর সেই কারণে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করার পরেও কৃষকদের অসন্তোষের কারণে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। কিষান পঞ্চায়েতের মাধ্যমে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নতুন তিনটি কৃষি আইনের সমর্থনে একাধিক বার্তা জনগণের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এটাই প্রথম নয় এর আগেও বেশ কয়েকবার কৃষকদের আন্দোলনের মুখে পড়তে হয়েছিল মনোহরলাল খট্টরকে। 

বালাকোট হামলা নিয়ে ভারতের মন্তব্যে সায়, প্রাক্তন পাক কূটনীতিক চাপ বাড়াচ্ছেন ইমরান খানের ...

দেশের ৭টি রাজ্যে বার্ড ফ্লুর থাবা, রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে জাতীয় রাজধানী ...

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আনা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত ২৬ নভেম্বর থেকেই দিল্লির উপকণ্ঠে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি তিনটি আইনই প্রত্যাহার করতে হবে। এদিন কৃষক আন্দোলনের মূলকেন্দ্র সিংহু বর্ডারে আরও এক কৃষক বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। পঞ্জাবের বাসিন্দা আমিরিন্দর সিংকে দিল্লি সোনিপতের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে আমিরিন্দ সিং জানিয়েছিলেন  তাঁর মৃত্যু কৃষক আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের দাবি মেনে নিতে হবে। গত দেড় মাস ধরেই তিনি অবস্থান করছিলেন বলেও জানিয়েছেন সহ-আন্দোলনকারীরা।