সংক্ষিপ্ত

  • শনিবার থেকে নিখোঁজ সিআরপিএফ জওয়ান 
  • উদ্বেগের দিন কাটছে পরিবারের 
  • চোখের জলে বাবাকে মুক্তির 
  • ছত্তিশগড়ে মাওবাদী নিরাপত্তা রক্ষী সংঘর্ষ হয়েছিল 

শনিবার থেকে খোঁজ নেই বাবার। পরিবারের বাকি সদস্যদের মতই চরমতম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়েটির। আর থাকতে না পেরেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে কেঁদে ফেলল ছোট্ট মেয়েটি। কিন্তু পরক্ষণেই  দুই হাত দিয়ে চোখের জল মুছে ফেলে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে। এক ছোট্ট মেয়েটি ভারতের বীর জওয়ান সিআরপিএফ-এর কনস্টেবল রাকেশ্বর সিং মানহাসের মেয়ে। তার বাবাকে মাওবাদীরা অপরহণ করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ। যদিও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে তেমন কোনও দাবি জানায়নি মাওবাদীরা। সবে স্থানীয় এক সাংবাদিক জানিয়েছেন তাঁকে মাওবাদী নেতা হিদমা ফোন করে বলেছে রাকেশ্বর তাদের হেফাজতেই রয়েছে।


রাকেশ্বের পাঁচ বছরের কন্য এক ভিডিওতে মাওবাদীদের উদ্দেশ্যে বলে তার বাবাকে যেন অবিলম্বে মুক্তি দেয় মাওবাদীরা। রাকেশ্বেরে ভাইপোও কাকার খোঁজেখর নেন। ছোট্ট ছেলেনি বারবার বলতে থাকে নকসাল কাকু তোমরা আমার কাকাকে ফিরিয়ে দাও। নিখোঁজ জওয়ান রাকেশ্বরের স্ত্রী মিনু জানিয়েছেন আর সংবাদ মাধ্যমেই জানতে পারেন তাঁর স্বামীকে নিয়ে গেছে মাওবাদীরা। সরকার বা সিআরপিএফ-এর তরফে প্রথমে তাদের বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানান হয়নি। মিনুর কথায় স্থানীয় এক সাংবাদিক তাঁদের ফোন করে অপহরণের খবর দিয়েছিলেন। তিনি স্বামীর মুক্তির আবেদন জানিয়েছে মাওবাদীদের একটি ভিডিও পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।  

সিআরপিএফ জওয়ানের অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জম্মুর বাড়িতে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। কয়েক মাস আগেই অসম থেকে বদলি হয়ে ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তারপরই এই ঘটনায় রীতিমত হতাশ পরিবারের সদস্যরা। শনিবার নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে মাওবাদীদের এনকাউন্টারে ২২জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। ৩১ জন জখম হয়েলেন। এনকাউন্টারের সময়ই জম্মুর সিআরপিএফ জওয়ানকে অপরহরণ করা হয়েছে বলেই অনুমান স্থানীয় প্রশাসনের। 

ছত্তিশগড়ে নিখোঁজ সিআরপিএফ জওয়ানকে ঘিরে রহস্য, মাওবাদীদের হাতে বন্দি বলে দাবি স্ত্রীর ...

আরামবাগে আক্রান্ত সুজাতা, কালচিনিতে তীব্র সমালোচনা করলেন মমতা