সংক্ষিপ্ত

ওয়েইসির সাফ দাবি একদিন হিজাব পরা মেয়েই হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

হিজাব বিতর্কে পুড়েছে গোটা দেশ। সাম্প্রদায়িকতার কানাগলি পেরিয়ে নতুন রাজনীতির পাঠ দিচ্ছে নব যুগের মৌলবাদীরা। এমতাবস্থায় এবার হিজাব বিতর্কের মাঝেই ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়লেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) দলের প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর সাফ দাবি একদিন হিজাব পরা মেয়েই হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে কর্নাটক হিজাব বিতর্ক মামলায় রোজই নতুন করে লাগছে রাজনীতির রং। বাকযুদ্ধে নেমেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা।  

এই ধারাবাহিকতাযর মধ্যেই আজ সকালে এআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে একটি ভিডিও টুইট করতে দেখা যায়। ভিডিও টুইট করে তিনি লেখেন, ইনশাআল্লাহ একদিন হিজাব পরা মেয়েই প্রধানমন্ত্রী হবেন। ওয়াইসি বলেন, যদি আমাদের মেয়েরা বাবা-মাকে বলে যে তারা হিজাব পরতে চায়, তাদের বাবা-মায়েরা সমর্থন দেবেন। তারপর দেখি কে আটকায়।”  ওই ভিডিওতেই ওয়েসি আরাও বলেন, হিজাব পরা মুসলিম মেয়েরা কলেজে যাবে, ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর হবে, ম্যাজিস্ট্রেট হবে, ডাক্তার হবে, ব্যবসায়ী হবে। ওয়েইসির কথায়, ‘আমি হয়তো তখন বেঁচে থাকব না, কিন্তু আমার কথা শুনে রাখুন, একদিন হিজাব পরা মেয়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন, ইনশাল্লাহ।তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।  

 

আরও পড়ুন- ৯ দিনে একবারও আসেনি ফোন, আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ কেরলের যুবক

আরও পড়ুন-পুরভোটের আঁচে তপ্ত বাংলা, গোটা বাংলা জুড়েই রবিবাসরীয় প্রচারে বিশেষ জোর তৃণমূলের

 

এদিকে এর আগে হিজাব ইস্যুতে বিবৃতি দেওয়ার সময় ওয়াইসি বলেছিলেন, “ভারতের সংবিধান চাদর বা হিজাব পরার অধিকার দেয়। আমি মেয়েদের বলছি ভয় ও আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। যে কোনো মুসলিম নারী কোনো ভয় ছাড়াই হিজাব পরতে পারেন।” তবে সদ্য শেয়ার করা এই ভিডিও এবং বক্তব্য নিয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওয়েইসিকে প্রশ্ন করলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এদিকে সাম্প্রতিককালে হিজাব বিতর্ক প্রথম শুরু হয় কর্নাটকে। প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাবের ব্যবহার।  এর আগে কর্নাটক হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, যতদিন না হিজাব সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন হিজাব-সহ কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক স্কুল ও কলেজে পরা যাবে না। হাইকোর্টের এই নির্দেশই বহাল রেখেছে সুপ্রিমকোর্ট। আর তাতেই দানা বেঁধেছে নতুন বিতর্ক।

আরও পড়ুন-প্রথম দফার ভোটেই স্পষ্ট উত্তরপ্রদেশ থেকে মুছে যাবে বিজেপি, ফের আক্রমণে অখিলেশ

আরও পড়ুন-রবিবার ৬ ঘন্টার জন্য বন্ধ দ্বিতীয় হুগলী সেতু, যানজট এড়াতে কোন রাস্তা দিয়ে যাবেন জেনে নিন