সংক্ষিপ্ত

উত্তরপ্রদেশে  দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। এমতবস্থায় সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব সংবাদমাধ্যমের একটি বিশেষ ইন্টারভিউয়ে রাজ্যের কৃষক, যুব, আইনশৃঙ্খলা এবং কর্মসংস্থান নিয়ে বিজেপি সরকারকে ফের কড়া আক্রমণ করেছেন।

উত্তরপ্রদেশে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এদিকে ইতিমধ্যেই যোগী রাজ্যে প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।  দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। এমতবস্থায় সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব সংবাদমাধ্যমের একটি বিশেষ ইন্টারভিউয়ে রাজ্যের কৃষক, যুব, আইনশৃঙ্খলা এবং কর্মসংস্থান নিয়ে বিজেপি সরকারকে ফের কড়া আক্রমণ করেছেন। ওই বিশেষ সাক্ষাত্কারেই অখিলেশ যাদব কৃষক, যুব, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থানে রাজ্যের দুরাবস্থার পাশাপাশি রাজ্যে ভ্রাতৃত্বের মতো ইস্যুতে বিজেপি সরকারের নীতির উপর কড়া আক্রমণ করেছেন তিনি।

এদিন যোগী শিবিরের উপর তীব্র কটাক্ষবান শানিয়ে অখিলেশকে বলতে শোনা যায়, “প্রথম দফার ভোট থেকেই স্পষ্ট যে বিজেপি নিশ্চিহ্ন হবে।একইসঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেন বর্তমান অবস্থা বুঝে বিজেপির লোকেরা এখন তো ঘরে ঘরে প্রচারও বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, লোকজন তাদের খালি সিলিন্ডার দেখাচ্ছে। অপরাধের পরিসংখ্যান নিজেই বলছে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতির আসল সত্যি। এই নির্বাচন বিজেপি বনাম ভ্রাতৃত্বের। এবারের নির্বাচনে যুব, কৃষক, বেকার সমস্যা থেকে বিজেপি মুখ ঘুরিয়ে নিয়ছে। তারা কৈরানা, মুজাফফরনগরকে ইস্যু করছিল। কিন্তু কিছুই কাজ হয়নি।

আরও পড়ুন-রাজ্যপাল বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করতেই ফের আক্রমণে ফিরহাদ, উঠল রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গও

আরও পড়ুন-সর্বভারতীয় তৃণমূলের নতুন কর্মসমিতির ঘোষণা পার্থর, মমতার তালিকায় ঠাঁই ২০ নেতার, থাকছেন অভিষেকও

এখানেই না থেমে অখিলেশ আরও বলেন, প্রথম পর্ব থেকেই স্পষ্ট যে বিজেপির শেষ নিশ্চিত। পশ্চিমের মানুষ বলেছে, এখানে ভ্রাতৃত্বের জয় হবে। বিভাজনকারী শক্তি ভোট পাবে না। আমি খুশি যে কৃষক এবং যুবকরা এসপি-আরএলডি জোটকে সমর্থন দিয়েছে।অন্যদিকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে অখিলেশ আরও বলেন, নতুন বছরে আমরা জনগণকে বিনামূল্যে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। অতীতে ২০ লাখ ল্যাপটপ দিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি যে আমরা প্রতিশ্রুতি রেখেছি। এখন বিজেপির লোকদের জিজ্ঞাসা করুন কিভাবে তারা তাদের ইস্তেতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে। তারা আগের প্রতিশ্রুতি ভুলে গেছে। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হয়নি, যুবকদের কর্মসংস্থানও হয়নি। বিজেপির লোকেরা এই প্রশ্নের উত্তর দিন, তারপর বাড়তি কথা বলুন। বিজেপি নেতারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত সব নেতারা যাতে ধরা না পড়ে সেজন্য একযোগে মিথ্যা কথা বলছেন, কিন্তু এখন জনগণ সব বুঝে গেছে। যদিও অখিলেশের এই চাঁচাছোলা আক্রমণের পর এখনও এই বিষয়ে বিশেষ মুখে খুলতে দেখা যায়নি গেরুয়া শিবিরের নেতাদের।

আরও পড়ুন-লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ওটিপি, ফের শহরে বড়সড় সাইবার জালিয়াত চক্রের হদিশ

আরও পড়ুন- রবিবার ৬ ঘন্টার জন্য বন্ধ দ্বিতীয় হুগলী সেতু, যানজট এড়াতে কোন রাস্তা দিয়ে যাবেন জেনে নিন