হিমাচল প্রদেশ ভূমিধ্বস: শিমলায় ভারী বৃষ্টি এবং ভূমিধ্বসের কারণে হিমাচল প্রদেশের অবস্থা গুরুতর। যে বৃষ্টি আগে স্বস্তি এনেছিল, এখন মানুষের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০ জুন থেকে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

হিমাচল প্রদেশ বন্যা: প্রাকৃতিক দুর্যোগে হিমাচল প্রদেশে নদীগুলি উপচে পড়েছে এবং এক টানা ভারী বৃষ্টি এবং ভূমিধসের কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। হিমাচল প্রদেশের রাস্তাঘাট গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারী বৃষ্টির কারণে মানুষ অনেক কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছে। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মতে, ২০ জুন থেকে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিধ্বস, হঠাৎ বন্যা এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মতো ঘটনায়, অন্যদিকে ১৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়।

মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর বিমান সমীক্ষা

হিমাচল প্রদেশে এক টানা ভারী বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। প্রশাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল ত্রাণ এবং উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। ৩০ আগস্ট ২০২৫ সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত প্রদেশে মোট ৮৩৯ টি রাস্তা, ৭২৮ টি বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার এবং ৪৫৬ টি জল সরবরাহ পরিষেবা বন্ধ ছিল। বৃষ্টি এবং ভূমিধ্বসের কারণে তিনটি জাতীয় রাজপথও বন্ধ হয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু চম্বা জেলার ভূমিধ্বস প্রবণ ভরমৌর এবং কাংগ্রা জেলার বন্যা প্রবণ ইন্দোরা ও ফতেহপুর অঞ্চলের বিমান সমীক্ষা করেন। তিনি জানান, সকল তীর্থযাত্রীদের নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং পুলিশ ও প্রশাসন পায়ে হেঁটে যাওয়া যুবকদের যাত্রা সহজ করে দিয়েছে।

রাস্তাগুলি যত দ্রুত সম্ভব খোলার নির্দেশ

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাস্তাগুলি যত দ্রুত সম্ভব খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে এতে ব্যাঘাত ঘটছে। প্রয়োজনে তীর্থযাত্রীদের ছোট হেলিকপ্টার করে বিমান ঘাঁটি নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তিনি এও জানান, ২০২৩ সালের বন্যার তুলনায় এবার প্রাণ ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। এসইওসির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলি মেরামতির কাজ চলছে, তবে একটানা বৃষ্টি এবং দুর্গম অঞ্চলের কারণে এই কাজ সহজ নয়।