সংক্ষিপ্ত
এবার হিন্দু রাষ্ট্রের ঘোষণা প্রকাশ্যেই! ভারতীয় সংবিধানকে বদলে চলছে নতুন সংবিধান লেখার কাজও। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এমনই একটি খবর ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বলা হয়েছে ২০২৩ সালেই নাকি ভারতকে সম্পূর্ণ 'হিন্দু রাষ্ট্র' হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
এবার হিন্দু রাষ্ট্রের ঘোষণা প্রকাশ্যেই! ভারতীয় সংবিধানকে বদলে চলছে নতুন সংবিধান লেখার কাজও। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এমনই একটি খবর ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বলা হয়েছে ২০২৩ সালেই নাকি ভারতকে সম্পূর্ণ 'হিন্দু রাষ্ট্র' হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
মাঘ-মেলায় প্রয়াগরাজের 'ধর্ম সংসদ'-এ নতুন সংবিধানের ঘোষণা করা হবে। এই গোটা বিষয়টির উদ্যোক্তা হিসেবে বারাণসীর শঙ্করাচার্য পরিষদের নাম উঠে আসছে। যদিও সঙ্ঘ পরিবারের সংগঠন হিন্দু পরিষদের দাবি তাঁরা এই সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী নতুন 'সংবিধানে' ভোটাধিকার থাকবে শুধু হিন্দুদের। অন্য ধর্মের মানুষরা এই দেশে থাকতে পারবে কিন্তু ভোট দিতে পারবে না।
খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। সঙ্ঘ পরিবারের নিন্দায় সরব হয় তৃণমূল থেকে সিপিএম সকলেই। যদিও বিজেপিও এই কর্মসূচী সম্পর্কে অজ্ঞাত বলেই দাবি করছে।
'হিন্দু রাষ্ট্রের যে রূপরেখা তৈরি হয়েছে তা খানিকটা এই রকম, মোট ৭৫০ পাতার সংবিধান তৈরি হতে পারে। ধর্মীয় পণ্ডিত ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সংবিধান তৈরি হবে। এর মধ্যে শিক্ষা, নিরাপত্তা, আইন ব্যবস্থা, ভোটদান-সহ কিছু বিষয় নিয়ে ৩২ পাতার খসড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন আনন্দস্বরূপ।এর মধ্যে শিক্ষা, নিরাপত্তা, আইন ব্যবস্থা, ভোটদান-সহ কিছু বিষয় নিয়ে ৩২ পাতার খসড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন আনন্দস্বরূপ। এখনকার সংসদীয় ব্যবস্থার পরিবর্তে তৈরি হবে ৫৪৩ সাংসদের ‘ধর্ম সংসদ’। দাবি, ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা কোনও নিয়মকানুন কাজ করবে না সেই অখণ্ড ভারতে। সবই চলবে ‘বর্ণাশ্রম’ ব্যবস্থা মেনে। বিচারব্যবস্থা চলবে ‘ত্রেতা ও দ্বাপর যুগের নিয়মে’। শিক্ষায় ফিরবে প্রাচীন গুরুকূল পদ্ধতি। দেশের সব নাগরিকের সামরিক প্রশিক্ষণ হবে বাধ্যতামূলক। আর কৃষিক্ষেত্র থাকবে সম্পূর্ণ ভাবে করমুক্ত। এ ছাড়া, ‘বদলে যাবে’ দেশের রাজধানীও। দিল্লির বদলে কাশী।