সংক্ষিপ্ত

ইয়াতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী এই কথার সঙ্গে তুলে ধরে অতীতের অমরনাথ যাত্রার প্রতিকূলতার কথা। তিনি বলেন হিন্দু সমাজ পতনের মুখে। 

সনাতন ধর্ম বিপন্ন। তাই এই ধর্মকে বাঁচিয়ে রাখতে হিন্দুদের আরও বেশি করে সন্তান উৎপাদন করা উচিত। এমনই মত হিমাচল প্রদেশের অখিল ভারতীয় সন্ত পরিষদের প্রধান সত্যাদেবানন্দ সরস্বতীর। তিনি সোমবার বলেন হিন্দুদের সংখ্যা যত বাড়বে, তত শক্তিশালী হবে সনাতন ধর্ম। সেই লক্ষ্যেই সন্তানের সংখ্যা বাড়ানো উচিত হিন্দুদের। 

এদিন সরস্বতী বলেন দেশে ক্রমশ বাড়ছে মুসলমানদের সংখ্যা। এর ফলে বিপন্ন হয়ে পড়ছে হিন্দুরা। হিন্দুদের পতন আসন্ন। তাই সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার তাগিদ নিয়ে তাঁদের বেশি করে সন্তান উৎপাদন করা উচিত। হিন্দু পরিবার শক্তিশালী হলে হিন্দু মানবধর্ম রক্ষা পাবে। হিমাচল প্রদেশের উনায় এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন হিন্দুদের ধর্ম রক্ষায় এগিয়ে আসা উচিত। মুসলমানদের রুখতে হলে হিন্দুদের সংখ্যায় বাড়তে হবে। তার একমাত্র উপায় হিন্দুদের সন্তান সংখ্যা বৃদ্ধি। 

ইয়াতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী এই কথার সঙ্গে তুলে ধরে অতীতের অমরনাথ যাত্রার প্রতিকূলতার কথা। তিনি বলেন হিন্দু সমাজ পতনের মুখে। অমরনাথ যাত্রা ও মাতা বৈষ্ণো দেবীর তীর্থযাত্রায় পাথর ছোঁড়া হত। মুসলিম সম্প্রদায়ের হাতে আক্রান্ত হতেন হিন্দু তীর্থযাত্রীরা। তা বন্ধ হয়েছে। এবার মুসলমান সম্প্রদায়ের সংখ্যা বৃদ্ধি আটকাতে হবে হিন্দুদের। কারণ একের পর এক হিন্দু উৎসবে বাধা সৃষ্টি করতে শুরু করেছে মুসলিমরা। 

হিমাচল প্রদেশের উনা জেলার মুবারকপুরে অখিল ভারতীয় সন্ত পরিষদের তিনদিনের 'ধর্ম সংসদ'-এর প্রথম দিনে ইয়াতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী এমনই দাবি করেন। তিনি বলেন মুসলমানরা পরিকল্পিতভাবে অনেক সন্তানের জন্ম দিয়ে তাদের জনসংখ্যা বাড়াচ্ছে। উল্লেখ্য, ইয়াতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী সহ সারা দেশ থেকে অন্যান্য পুরোহিতদের সাথে উনায় ধর্ম সংসদে যোগ দিয়েছিলেন।

এদিকে দিন কয়েক আগেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে দরবার করেছে কেন্দ্র। সোমবার শীর্ষ আদালতের কাছে কেন্দ্র জানিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। তাই তাদের সেই তকমা দেওয়া হোক। নতুবা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছেন তাঁরা। 

আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের দায়ের করা একটি আবেদনের জবাবে জমা দেওয়া হয়েছিল এই তথ্য। অশ্বিনী উপাধ্যায় তাঁর আনা মামলায় মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, লক্ষদ্বীপ, লাদাখ ও কাশ্মীরে হিন্দুদের জন্য সংখ্যালঘু মর্যাদা চাওয়ার আবেদন জানিয়ে ছিলেন। এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র জানিয়েছে রাজ্যগুলি চাইলে এখানে হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা দিতে পারে। তাহলে কেন্দ্রের বিভিন্ন সংখ্যালঘু প্রকল্পের অংশীদার হতে পারবে হিন্দুরা।  উল্লেখযোগ্য যে, ভারতে এখন পর্যন্ত মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পারসিরা সংখ্যালঘু শ্রেণিভুক্ত।