সংক্ষিপ্ত
নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে রাহুল গান্ধীর তীব্র সমালোচন করল বিজেপি। রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন এবার নোটবন্দির বিরোধিতা করার জন্য রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়া জরুরি।
সোমবার নোটবন্দি নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ৪:১ সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে ২০১৬ সালে কেন্দ্রের মোদী সরকার নোট বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বজায় রেখেছে। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, নোট বাতিলের প্রক্রিয়ায় কোনও ত্রুটি ছিল না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে ঐতিহাসিক বলে স্বাগত জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পাশাপাশি নোটবাতিল ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সমালোচনাকেই নিশানা করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে দাবি তোলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের এপর এবার কংগ্রেস নেতার ক্ষম চাইতে হবে।
বিজেপির নিশানায় রাহুল গান্ধী
বিজেপির প্রশ্ন নোট বাতিল নিয়ে রাহুল গান্ধী যেসব মন্তব্য করেছে তার জন্য কংগ্রেস নেতার ক্ষমা চাওয়া জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর। প্রাক্তন আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ জোর দিয়ে বলেছেন ২০১৬ সালে নোটবন্দি ছিল সন্ত্রাসবাদের ওপর সবথেকে বড় আঘাত। কারণ এই সময় সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধ করার জন্য এই সিদ্ধান্ত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সময় উপযোগী ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত আয়কর বাড়িয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন এই সিদ্ধান্ত দেশ ও জাতির স্বার্থে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ছিল। সুপ্রিম কোর্ট জাতীয় স্বার্থে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত বৈধ বলে ঘোষণা করেছে। রাহুল গান্ধী কি এবার নোটবন্দি বা নোটবাতিলের বিরুদ্ধে তাঁর লাগাতার প্রতারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন? সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তা জানতে চাইলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ।
বিজেপির নিশানায় চিদাম্বরম
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি নেতা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমরেও নিশানা করেন। তিনি বলেন চিদাম্বরম সুপ্রিম কোর্টের সংখ্যালঘু রায়ের কথাই বারবার উল্লেখ করেছেন। সংখ্যাগরিষ্টের রায়কে উপেক্ষা করছেন। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর এজাতীয় মন্তব্য সমর্থন কা যায় না বলেও দাবি করেন রবিশঙ্কর প্রসাদ।
নোটবন্দি নিয়ে চিদাম্বরমের মত
চিদাম্বরম সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায় দেওয়ার পরেই বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় এই প্রশ্নটি পরিষ্কার করেছে যে নোটবন্দি অনুশীলনের উদ্দেশ্যগুলি আদৌ অর্জিত হয়েছিল কিনা? 'সংখ্যালঘু' রায়টি নোটবাতিল 'অবৈধ' এবং 'অনিয়ম' হয়েছে বলে দাবি করেছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনটি ঘোষণা করলে, তা মানতে সকলেই বাধ্য। যাইহোক, এটি উল্লেখ করা প্রয়োজন যে সংখ্যাগরিষ্ঠরা সিদ্ধান্তের প্রজ্ঞাকে সমর্থন করেনি, বা সংখ্যাগরিষ্ঠরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি যে বিবৃত উদ্দেশ্যগুলি ছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত জানিয়েছিলেন চিদাম্বরম।
বিজেপির দাবি ডিজিটাল পেন্টেনে এগিয়েছে ভারত
ভারত ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নেতা হয়ে উঠেছে যা নোটবন্দির পরে বাড়ানো হয়েছিল, তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শুধুমাত্র এই বছরের অক্টোবরেই দেশটি ১২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ৭৩০ কোটি ডিজিটাল লেনদেন করেছে। ভিন্নমত পোষণকারী বিচারকও বলেছেন যে নীতিটি ভাল উদ্দেশ্য ছিল বলেও দাবি করেন বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুনঃ
চার দিনের মাথায় চন্দ্রবাবুর জনসভায় আবারও দুর্ঘটনা, পদদলিত হয় মৃত্যু ৩ জনের
সোশ্যাল মিডিয়াতে হেনস্থা, হরিয়ানার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ মহিলা কোচের