সংক্ষিপ্ত
আজ সন্ধ্য়ায় মণিপুর পৌঁছে যাবেন অমিত শাহ। চার দিন থাকবেন উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ী রাজ্যে। রাজ্যের শান্তি ফেরাতে দফায় দফায় বৈঠক করবেন।
চার দিনের সফরে আজ অগ্নিগর্ভ মণিপুর যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২৯ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত তিনি সেখানে থাকবেন। মণিপুরের পরিস্থিতি মূল্যায়ণ করতে ও রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ করবেন। সূত্রের খবর মণিপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য এই সফরেই অমিত শাহ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করবেন। পাশাপাশি তিনি রাজ্যের সুশীল সমাজ ও মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করবেন।
সোমবার সন্ধ্যায় অমিত শাহ মণিপুর পৌছাবেন। সম্প্রতি অসমে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ মণিপুরের পরিস্থিতির কথা উত্থাপন করেন। তিনি অসমের অনুষ্ঠানেই জানিয়েছিলেন ২৯ মে তিনি মণিপুর যাবেন।
তফসিলি উপজাতির মর্যাদার দাবিতে মেইতি সম্প্রদায়ের আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই ৩ মে থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুরের পরিস্থিতি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী এখনও মণিপুরে আন্দোলনের বলি ৭৫ জন। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং রবিবার জানিয়েছেন, রাজ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সশস্ত্র অভিযানে প্রায় ৪০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয়েছে, তারা সাধারণ মানুষেক ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, গুলি চালানোর মত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
অন্যদিকে রবিবারের এই অভিযানের পর এখনও পর্যন্ত মণিপুরে তেমন বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। রীতিমত থমথমে মণিপুর রাজ্য। রাজ্যসরকার সূত্রের খবর রবিবারের ঘটনায় আহত অবস্থায় যারা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাদের মধ্যে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা ইম্ফল উপত্যকার আশেপাশে টহল দিচ্ছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় চিরুনি তল্লাশিও শুরু করেছে।
অন্যদিকে উম্ফল জেলার ফায়েং -এর সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের গুলিতে রবিবার রাতেও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অন্যজককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিতে এক পুলিস কর্মী নিহত হয়েছে। সুগনুতে আরও একজন অহত হয়েছে। তবে এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় কিছু এলাকায় কার্ফুর সময় ১১ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে সাড়ে ৬ ঘণ্টা করা হয়েছে।
মণিপুরের এক সরকার পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সেনা বাহিনী অস্ত্র মুক্ত করার জন্য রবিবার সকাল থেকেই অভিযান শুরু করেছিল। তারপরই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইম্ফলের পশ্চিমে উরিপোকে বিজেপি বিধায়কের বাড়ি ভাঙচুর করে দুটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। উইম্ফলের বেশ কিছু এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে এদিন সকাল থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে। কাকচিংয়ের সুগনু, চুরাচাঁদপুরের কাংভি, ইম্ফল পশ্চিমের কাংচুপ, ইম্ফল পূর্বের সাগোলমাং, বিষেনপুরের নুঙ্গোইপোকপি, ইম্ফল পশ্চিমের খুরখুল এবং কাংপোকপিতে ওয়াইকেপিআইতে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার নিয়েছিল। সরকারি কর্তা আরও জানিয়েছেন, একাধিক জায়গায় জঙ্গিদের নেতৃত্বে ছিল মহিলারা। সেখানে সেনা টহল আপাতত কমান হয়েছে।
আরও পডুনঃ
অমিত শাহের সফরের আগেই রক্তাক্ত মণিপুর, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন নিহত ৪০ বিচ্ছিন্নতাবাদী
'অভিষেকের পর অহংকারী রাজা রাস্তায় জনগণের কণ্ঠ স্তব্ধ করছে!' দুটি ইস্যুতে রাহুলের নিশানায় মোদী