সংক্ষিপ্ত
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দেশের সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন না। তাদের হয়ে অংশ নেন জনপ্রতিনিধিরা। লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদ ও রাজ্যগুলির বিধানসভার সদস্যরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকারী। সেইমত লোকসভার ৫৪৩ জন সদস্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন।
সোমবার (১৮ জুলাই) ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তৎপরতা তুঙ্গে জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিও-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। রাষ্ট্রপতির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দেশের সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন না। তাদের হয়ে অংশ নেন জনপ্রতিনিধিরা। লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদ ও রাজ্যগুলির বিধানসভার সদস্যরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকারী। সেইমত লোকসভার ৫৪৩ জন সদস্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন। তবে রাজ্যসভার ২৪৫ জন সদস্যের মধ্যে ২৩৩ জন ভোটদানের অধিকারী। কিন্তু এবার জন্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের তকমা হারানোয় চারটি আসন খালি রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যসভার মাত্র ২২৯ জন সদস্য ভোট দিতে পারবেন। দেশের সবকটি রাজ্যের বিধায়ক হিসেবে ৪ হাজার ৩৩ জন সদস্য ভোট দিতে পারবেন।
চলতি বছর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৪ হাজার ৮০৯ জন ভোটার রয়েছে। তাদের ভোটের মূল্য ১০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪৩১। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫,৪৩,২১৬ টি ভোট।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শাসক দল বিজেপির সঙ্গে রয়েছে সহযোগী জেডিইউ, এআইডিএমকে, আপনা দল, এলডেপি, এনপিি, নিষাদ পার্টি, এনপিএফ, এমএনএফ, এআইএনআর কংগ্রেসের মত ২০টি দল। এনডিএর দখলে রয়েছে ৫৩৫০০০টি ভোট। তবে দ্রোপদী মুর্মুর জয়ের জন্য আরও ১৩ শতংশ ভোটের প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে উদ্ধব ঠাকরে, নবীন পট্টনায়ক, হেমন্ত সোরেন সরাসরি বিজেপির সঙ্গে না থাকলেও দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জানাবেন বলে আগে থেকেই ঘোষণা করেছেন।
তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলি। তাদের হাতে রয়েছে মাত্র ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৯২টি ভোট। এনডিএর হাতে যেখানে ৪৮ শতাংশ নিশ্চত ভোট রয়েছে বিরোধীদের হাতে তা নেই। তাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে কংগ্রেস ও বিরোধীরা।