- Home
- India News
- India Pakistan War: ইন্দো-পাক যুদ্ধে পরমাণু হামলার আশঙ্কা! পারমাণবিক বিকিরণ থেকে কীভাবে বাঁচবেন?
India Pakistan War: ইন্দো-পাক যুদ্ধে পরমাণু হামলার আশঙ্কা! পারমাণবিক বিকিরণ থেকে কীভাবে বাঁচবেন?
পারমাণবিক হামলার পরে বেঁচে থাকার জন্য প্রাথমিক পদক্ষেপগুলি জেনে নিন। বাঙ্কারে আশ্রয় নেওয়া, জল মজুত করা এবং বিকিরণ থেকে সুরক্ষিত থাকার টিপস সম্পর্কে জানুন।

শুরু হয়েছে অপারেশন সিন্দুর টু। ২২ এপ্রিল পেহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতে ভারতের অপারেশন সিন্দুর পাকিস্তান-কে বড় ধাক্কা দিয়েছে। ৭ মে বুধবার ভোররাত থেকে ভারতীয় এয়ার স্ট্রাইকে গুঁড়িয়ে গিয়েছে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গী ঘাঁটি তথা প্রশিক্ষণ শিবির।
বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সি্ং, জানিয়েছেন, ভারতের এয়ারস্ট্রাইকে ১০০ জন জঙ্গি এবং জঙ্গি কমান্ডার খতম হয়েছে। এদিকে পাকিস্তান ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিগত ১৫ দিন ধরে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে গোলা বর্ষণ করে চলেছে। জম্মু-কাশ্মীরের সিমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তানের মর্টার হামলায় অন্তত ২০ জন ভারতীয় সাধারন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
জম্মু ছাড়াও পাঞ্জাব-হরিয়ানা রাজস্থান পাকিস্তান ঘন ঘন ড্রোন ও মিসাইল হামলার চেষ্টা করেছে। পাক আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি ও জনবসতি পূর্ণ এলাকা। যদিও সেনা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সবকটি হামলাই ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশেই বানচাল করে দিয়েছে।
এ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী তিনটি পাক ফাইটার জেট, যার মধ্যে এফ সিক্সটিনও রয়েছে ধ্বংস হয়েছে পাল্টা ভারতীয় হামলায়। এই পরিস্থিতিতে দু-দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। এবং পাকিস্তান ইতিমধ্যেই একাধিকবার পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়েছে।
পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তিতে ভারতও শক্তিধর একটি রাষ্ট্র, তাই পাল্টা হামলার আশঙ্কা পাকিস্তানও করছে। যদি এই দুই দেশ পারমাণবিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে বিপুল ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছে আমেরিকা রাশিয়া-সহ অন্যান্য সমরিক শক্তিধর রাষ্ট্র।
এবার প্রশ্ন হল যদি কোনও পারমাণবিক অস্ত্রের আঘাত হানা হয়। সেক্ষেত্রে তার বিভৎস ক্ষতিকর ফলাফল থেকে নিজেকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন। পারমাণবিক বিস্ফোরণের ক্ষতিকর বিকিরণ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার প্রাথমিক কয়েকটি পদক্ষেপ জেনে নেওয়া যাক-
১) পারমাণবিক হামলা হলেই চেষ্টা করতে হবে কোনও বাঙ্কার বা ভূগর্ভস্থ কক্ষে আশ্রয় নেওয়ার। যদি তা না থাকে, তাহলে একতলার যে ঘরে আশ্রয় নেবেন, সেই ঘরের জানলা দরজা পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে। জানলা দরজা পর্দা বা মোটা কাপড়ের আস্তরণে ভেতর দিক থেকে মুড়ে ফেলতে হবে।
২) ঘরে পানীয় ও ব্যবহারিক জল আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখুন। কারণ পারমাণবিক বিস্ফোরণের পর ক্ষতিকর বিকিরণ ট্যাপ ওয়াটারকেও প্রভাবিত করতে পারে।
৩) মনে রাখতে হবে পারমাণবিক বিস্ফোরণের ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা কোনও ভাবেই ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না।
৪) বিকিরণের ফলে বাড়তে থাকা উত্তাপে যদি হাতে মুখে জল দিতেও হয় তাহলে তা ঘরে সংরক্ষিত জল থেকেই করুন। পানীয় জলের ক্ষেত্রে একই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৫) পারমাণবিক বিস্ফোরণের বিকিরণের প্রভাবে একশো কিলোমিটারের মধ্যে সমস্থ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অকেজো হয়ে যেতে পারে আপনার মোবাইল ফোনও। ফলে হাতের কাছে ওয়াকিটকি রাখলে সুবিধা হবে।
৬) চার্জেবল নয় ব্যাটারিযুক্ত টর্চ সঙ্গে রাখার চেষ্টা করুন। চোখ এবং নাক ঢাকুন প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৭) বাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমানে শুকনো খাবার মজুত করুন এবং সেগুলি ভালো করে ফয়েলে মুড়ে রেখে দিন। এগুলি আপনাকে অন্তত ৩-৪ দিন বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।
৮) পারমাণবিক বিস্ফোরণ হলে বিদ্যুত সংযোগ ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কাই বেশি, কিন্তু যদি তা নাও নয়, সেক্ষেত্রেও তা না ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
৯) ঘরের প্রয়োজনীয় অসুধ, ফাস্টএইড, মোবাইল ফোন, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস একাধিক পরতে ফয়েলে মুড়ে রাখুন। ফলে কিছুটা হলেও এগুলি নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে।

