সংক্ষিপ্ত
যেন হঠাতই নরকের দরজা খুলে গেল দিল্লির হাউজ খাস এলাকায়, দিল্লি আইআইটির কাছেই। ঠিক কেন দেখা দিল এই সিঙ্কহোল, তা এখনও জানা যায়নি।
শনিবার কালে দক্ষিণ দিল্লিতে যেন খুলে গেল নরকের দরজা! অন্তত নেটিজেনরা তাই বলছেন। জানা গিয়েছে, এদিন দক্ষিণ দিল্লির হাউজ খাস এলাকায়, আইআইটি ফ্লাইওভারের নীচে মসৃণ অরবিন্দ মার্গ-এর উপর আচমকাই রাস্তার একটা অংশে সিঙ্কহোল বা বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। দিনের ব্যস্ত সময়ে ওই ঘটনা ঘটলেও, কেউ হতাহত হয়নি বা কোনও সম্পত্তির ক্ষতি হয়নি। তবে, রাস্তায় ওই গর্ত তৈরি হওয়ায় ওই অঞ্চলে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। আপাতত ওই গর্তটি ঘিরে দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশকে রাস্তার ওই অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে আচমকাই বড় শব্দ করে রাস্তার ওই অংশটি বসে যায়। প্রায় ১০-১৫ ফুট দীর্ঘ অংশে গর্ত তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা আরও বলেছেন, গর্তটির নিচে ময়লা জল দেখা যাচ্ছিল। দিল্লি পুলিশ এবং দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ ঘটনাস্থলটি ঘিরে রেখেছে। দিল্লি পিডব্লিউডির কর্মকর্তারাও ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে ভারি বৃষ্টির কারণে আইআইটি দিল্লির কাছে রাস্তার একটা অংশ জলে ডুবে গিয়েছিল। সেই জল নামতে না নামতেই রাস্তার ওই অংশটি ভেঙে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা পিডব্লিউডি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রকাতমিকভাবে তাঁদের মনে হয়েছে রাস্তাটি সারাতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে। কিন্তু, ঠিক কেন এই ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়ে তাঁরা এখনও নিশ্চিত নন।
অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ইউবি সিং, সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, 'দিল্লির হাউজ খাস এলাকায় যে বিশাল সিঙ্কহোল তৈরি হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টা-১০টা নাগাদ এটি আমাদের নজরে আনা হয়েছিল। আমরা এলাকাটি ঘিরে দিয়ে ট্রাফিক বিভাগকে জানিয়েছি। আমরা নিশ্চিত নই তবে দিল্লি জল বোর্ডের একটি নর্দমার লাইনে ফাটলের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।'
অনেকে আবার মনে করছেন কেবল সংস্থাগুলি লাগামহীনভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্যই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সাড়া ফেলেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, 'মনে হচ্ছে, দিল্লির আইআইটি ফ্লাইওভারের নিচে নরকের দরজা খুলে গেছে। এটা সত্যিই ভীতিজনক।'
এর আগে গত কয়েক মাসে, বর্ষায় ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে এরকম সিঙ্কহোল তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। গত সপ্তাহে দিল্লিতেই দ্বারকা সেক্টর ১৮-তে এরকমই একটি সিঙ্কহোল তৈরি হয়ে একটি গাড়ি তার ভিতরে পড়ে গিয়েছিল। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এক পুলিশ কনস্টেবল। দুর্ঘটনা সত্ত্বেও তাঁর কিছু হয়নি। গত জুন মাসে একইভাবে মুম্বইয়ের ঘাটকোপারে, এক আবাসিক সোসাইটির পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ির নিচে আচমকাই সিঙ্কহোল তৈরি হয়েছিল। তাতে ঢুকে গিয়েছিল গাড়িটি। দুটি ক্ষেত্রেই পরবর্তী সময়ে ক্রেন দিয়ে গাড়িগুলি উদ্ধার করা হয়েছিল।