সংক্ষিপ্ত

আদালতে চলছিল বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার শুনানি। আর সেই সময়ই নিজের স্ত্রীর গলা কেটে ভরা আদলতের মধ্যেই হত্যা করলেন স্বামী। এই ঘটনায় রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল কর্নাটকের একটি পারিবারিক আদালতে।

আদালতে চলছিল বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার শুনানি। আর সেই সময়ই নিজের স্ত্রীর গলা কেটে ভরা আদলতের মধ্যেই হত্যা করলেন স্বামী। এই ঘটনায় রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল কর্নাটকের একটি পারিবারিক আদালতে। যদিও পুলিশ গ্রেফতার অভিযুক্ত স্বামীকে।

বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আদালতে স্বামী-স্ত্রী
বছর সাতেক আগে বিয়ে হয়েছিল শিবকুমার ও চিত্রার। কিন্তু নিত্য কলহ ছিল তাদের দাম্পত্য জীবনের অঙ্গ। এই অবস্থায় স্বামী স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কাউন্সেলিং সেশনের মাত্র কয়েক মিনিট পরেই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর ঘটনা। স্ত্রী চিত্রার ওপর হামলা চালায় স্বামী শিবকুমার। এক ঘণ্টার কাউন্সেলিং পর্ব শেষেই স্বামী ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্ত্রীর ওপর। একটি কোপেই গলা কেটে ফেলে স্ত্রীর। 

রক্তাক্ত আদালত চত্ত্বর- 
বিবাহবিচ্ছেদ মামলার শুনানি চলে প্রায় এক ঘণ্টা পরে। বিচারক পরবর্তী দিনে শুনানির নির্দেশও দেয়। সেই সময়ই আদালতের একটি শৌচালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন স্ত্রী চিত্রা।   তখনই শিবকুমার তাঁকে টার্গেট করে। ধারাল অস্ত্র নিয়ে স্ত্রীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।  স্ত্রী গলা কেটে গিয়ে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আদালত চত্ত্বর। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে স্ত্রী। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তড়িঘড়ি মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর চিত্রার গলার দুটি ধমনী কেটে গিয়েছিল। আর সেই কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেরই মৃত্যু হয়েছে। 

পলানোর চেষ্টা খুনি স্বামীর-
অন্যদিকে স্ত্রীর গলায় কোপ বসিয়ে আদালত ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে স্বামী। কিন্তু আদালত চত্ত্বরে অবস্থিত মানুষই শিবকুমারকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। শিবকুমারকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

পুলিশের বয়ান-
'ঘটনাটি আদালত চত্বরে ঘটেছিল। আমরা তাকে আমাদের হেফাজতে রেখেছি। সে অপরাধ করার জন্য যে অস্ত্রটি ব্যবহার করেছিল তা আমরা জব্দ করেছি। কাউন্সেলিং সেশনের পরে কী ঘটেছে এবং কীভাবে সে আদালতের ভিতরে অস্ত্রটি আনতে পেরেছিল তা আমরা তদন্ত করব।' এটি কি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যা ছিল, তদন্তের সময় আমাদের কাছে বিস্তারিত থাকবে, "হাসানের সিনিয়র পুলিশ কর্তা হরিরাম শঙ্কর বলেছেন।