ডি প্রশান্ত নায়ার নামের এক টুইটার ব্যবহারকার সম্প্রতী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যা এখন আলোচনার বিষয়। 

পাসপোর্ট অত্যান্ত জরুরি একটি বিষয়। এটি একজন মানুষের আইডেনটিটিও। কিন্তু পাসপোর্টের এই হাল হতে পারে তা হয়তো আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে - যেখানে দেখা যাচ্ছে পাসপোর্টের করুণ বেহাল দশা। যা দেখে মন্ত্রী মশাই নিজের হাসি চেপে রাখতে পারেননি। তিনিও ভিডিওটি নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে রিপোস্ট করেছে।

ডি প্রশান্ত নায়ার নামের এক টুইটার ব্যবহারকার সম্প্রতী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যা এখন আলোচনার বিষয়। একজন বয়স্ক মানুষ তাঁর পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণের জন্য জমা দিয়েছিলেন। তাঁর পুরনো পাসপোর্টের পৃষ্ঠাগুলি ওলটাতেই সামনে এল অবাক করা তথ্য। প্রতিটি পাতাতেই রয়েছে অবাক করার মত তথ্য। যা দেখে পুনর্নবীকরণ অফিসারও প্রবল ধাক্কা খেয়েছে। যা পাসপোর্টটিকে অসাধারণ করে তুলেছে বলেও মনে করেছেন অনেকে মন্তব্য করেছে।

Scroll to load tweet…

এক মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে পাসপোর্টে কখনও লেখা রয়েছে ফোন নম্বর। কখনও লেখা রয়েছে ধনে জিরে আদার মত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ফর্দ। কখনও আবার দৈন্দদিন হিসেবপত্রও লেখা হয়েছে। সবথেকে বড় কতা পাসপোর্টের ফাঁকা পাতায় লেখা হয়েছে ফোননম্বরও।

মনে করা হচ্ছে পাসপোর্টটি ১৯৯০ সালে। কয়েক বছর ধরে সংশ্লিষ্টের পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু আগামী দিনে প্রয়োজন হতে পারে এই ভেবে তিনি পাসপোর্ট নতুন করে করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পাসপোর্টই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

Scroll to load tweet…

মজার এই ভিডিও শেয়ার করেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, 'শুধু হাসির জন্য'। ভিডিওটি এক ব্য়ক্তির মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট তাঁর স্ত্রী ফর্দ লেখা, সাংসারিক হিসেবপত্র করার পাশাপাশি সংবাদপত্র বিক্রেতা, সবজি বিক্রেতার ফোন নম্বরই লিখে রেখেছিলেন।

একজন ব্যবহারকারী চতুরভাবে মন্তব্য করেছেন, "তার পাসপোর্টটি একটি ফোন ডিরেক্টরি হিসাবে বজায় রেখেছিলেন এবং সেখানে কিছু বাজেটও করেছিলেন।" আরেকজন ব্যঙ্গ করে বলেন, "তিনি তার পাসপোর্টটি সৃজনশীলভাবে ব্যবহার করেছেন, এটি একটি ফোন ডিরেক্টরিতে পরিণত করেছেন।" একজনতো লিখেছেন এটি "ঈশ্বরের নিজস্ব পাসপোর্ট!"