সংক্ষিপ্ত
- ঘটনার পর থেকে ঘুম উড়ে গিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবারের
- শুক্রবার হায়দরাবাদ কাণ্ডের চার অভিযুক্ত এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে
- এই ঘটনায় খুশি নির্যাতিতার পরিবার
- দিশার আত্মা শান্তি পাবে বলছেন তাঁর বাবা
গত বৃহস্পতিবার থেকে দুচোখের পাতা এক করতে পারেননি। প্রথমে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, তারপর মিলেছিল তাঁর দগ্ধ দেহ। সেই থেকে চোখ বুজলেই মেয়ের যন্ত্রণাকাতর মুখটা ভেসে উঠছিল। শুক্রবার ভোররাতে পুলিশি সংঘর্ষে হায়দরাবাদ কাণ্ডের চার অভিযুক্ত তম হওয়ার পর দিশার বাবা-বোন বলছেন, দিশা না ফিরলেও এই ঘটনায় অন্তত তাঁর আত্মা শান্তি পাবে। তাঁরা ঘুমোতে পারবেন শনিবার রাতে।
আরও পড়ুন - চরম পরিণতি হায়দরাবাদ গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযুক্তদের, পুলিশি এনকাউন্টারে নিহত ৪
এদিন সকালে পুলিশই দিশার বাড়িতে অভিয়ুক্তদের খতম হওয়ার খবর দেয়। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার বদলে এই ভাবে অল্প সময়ের মধ্যেই এই চারজনের চরম পরিণতি হওয়ায় দিশার বাবা-মা-বোন প্রত্যেকেই অত্যন্ত খুশি। সেই সঙ্গে তেলেঙ্গানা সরকার, পুলিশ ও দেশের সব প্রান্তের মানুষ যেভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তাঁরা।
আরও দেখুন - হায়দরাবাদ গণধর্ষণের অভিযুক্তরা খতম এনকাউন্টারে, দেখুন সেই রোমহর্ষক ভিডিও
দিশার বাবা বলেছেন, তিনি জানেন অভিযুক্তদের মৃত্যুতে তাঁর মেয়ে ফিরে আসবে না। কিন্তু তাও এ এক মানসিক শান্তি। তাঁর মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে। শুধু তাই নয়, এর ফলে অপরাধীদের মনে ভয় ঢুকবে বলে মনে করছেন পশু চিকিৎসকের বাবা। তিনি বলেছেন, 'আমার মেয়ের সঙ্গে যে জঘন্য অপরাধ ঘটেছে, ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা ঘটাতে গেলে অপরাধীর ভয় পাবে'। আর দিশার মা এই ঘটনার পর বাক্যহারা। তাঁর দুচোখ দিয়ে শুধু জল ঝড়ছে।
আরও দেখুন - সামনে এল এনকাউন্টারের ১৪ ছবি, দেখে নিন হায়দরাবাদকাণ্ডে নিহতদের শেষ পরিণতি
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি কথাই বলতে পারেননি। ঘটনার মাত্র কিছুক্ষণ আগে দিশা তাঁর বোনকে ফোন করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তাঁর ভয় করছে। কিছু অপরিচিত লোক তাঁকে ঘিরে ধরেছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দিদিকে উদ্ধার করতে পারেননি বোন। ঘটনায় পর থেকে এক অসহায়ত্ব ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। দিশার সেই বোনও এদিনের পর অত্যন্তু খুশি। তাঁর মতে সংবাদমাধ্যম, প্রশাসন থেকে জনসাধারণের অসামান্য সমর্থনের জন্যই বিচার পেল তাঁর বোন।
আরও পড়ুন - হায়দরাবাদ-এর আগে ওয়ারাঙ্গাল, 'এনকাউন্টার'-এর জন্যই খ্যাত আইপিএস সজ্জানার
দিশা কাণ্ডে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু দিশার বোন মনে করছেন, বিচার ব্যবস্থায় তাঁর দিদি এত দ্রুত ন্যায় পেতেন না। তার থেকে এনকাউন্টার-এর ঘটনাই ভালো। বাবার মতো তিনিও মনে করছেন, এই ঘটনা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।