জীবনে শেষ উড়ানে অংশ নিলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া মিগ ২১-এর ককপিটে তিনি জুটি বাঁধলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের সঙ্গে পাঠানকোট এয়ারবেস থেকে ৩০ মিনিটে জন্য একটি প্রশিক্ষণ বিমান ওড়ান তারা অভিনন্দনের সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন মিল থাকার কথা জানালেন ধানোয়া

জীবনের শেষবারের মতো মিগ ২১ যুদ্ধবিমান ওড়ালেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া। আর শেষ উড়ানে তিনি জুটি বাঁধলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের সঙ্গে। সোমবার সকালে এই দুই বায়ুসেনা অফিসার একটি প্রশিক্ষণমূলক মিগ ২১ বিমান ওড়াতে দেখা গেল পাঠানকোটে বায়ুসেনার এয়ারবেস থেকে। তাঁদের সঙ্গে বায়ুসেনার অন্যান্য কয়েকজন অফিসারও উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে তাঁরা উড়ান শুরু করেন। ৩০ মিনিট আকাশে থাকার পর ফের নেমে আসেন।

Scroll to load tweet…

এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া জানান, জীবনের শেষ উড়ানে অভিনন্দনকে পাশে পাওয়াটা অত্যন্ত সম্মানের। অভিনন্দনের সঙ্গে তাঁর বেশ কিছু মিল রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রথমত অভিনন্দনের মতো তাঁকেও ১৯৮৮ সালে বিমানের ককপিট থেকে নিজেকে ইজেক্ট করতে বা ঝাঁপ দিতে হয়েছিল। তারপর তাঁর ৯ মাস, লেগেছিল ককপিটে ফিরতে। সেখানে অভিনন্দনের লেগেছে ৬ মাস। বায়ুসেনা প্রধান জানিয়েছেন সব পাইলটই ককপিটে ফেরার স্বপ্নই দেখে।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

এছাড়া তাঁরা দুজনেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বালাকোটো ভারতের বিমান হানার পরের দিনই ভারতে হামলা চালাতে এসেছিল পাকিস্তানি হানাদার বিমান। সেই বিমান বাহিনীকে তাড়া করতে গিয়ে অভিনন্দনের বিমানে পাক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে। যার জন্য তিনি নিজেকে ইজেক্ট করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারপর পাকিস্তানের হাতে বন্দি হওয়া এবং মুক্তি। আর এয়ার চিফ মার্শাল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে।

তবে জীবনের শেষ উড়ানের পর আরও একটি চকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছএন বায়ুসেনা প্রধান। তিনি জানিয়েছেন এর আগে অভিনন্দন বর্তমানের বাবার সঙ্গেও ককপিট ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি। এইবার তাঁর স্বনামধন্য ছেলের সঙ্গেই শেষবার ককপিট ভাগ করলেন তিনি।