সংক্ষিপ্ত
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর (ICMRI) পক্ষ থেকে নতুন নির্দেশিকা জানানো হয়েছে। তাদের দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ কোভিড রোগীর (Covid) সংস্পর্শে এলেই পরীক্ষার প্রয়োজন। কোভিডের (Corona) কোনও লক্ষণ নেই তাদের এই পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।
প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পার করেছিল ২৪ হাজারের গণ্ডি। সোমবার যদিও সামান্য স্বস্তি মিলেছে। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ১৯ হাজারের ওপরে। এদিকে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়। দেশের প্রতিটি রাজ্যের হাল একই। দেশে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমন সময় করোনা পরীক্ষা নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রে। কখন করোনা পরীক্ষা করবেন, কখন পরীক্ষা করবেন না, তা নিয়ে জারি হল নয়া নির্দেশিকা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর (ICMRI) পক্ষ থেকে নতুন নির্দেশিকা জানানো হয়েছে। তাদের দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ কোভিড রোগীর (Covid) সংস্পর্শে এলেই পরীক্ষার প্রয়োজন। এখন প্রশ্ন হল কী করে বুঝবেন কোনও রোগী ঝুঁকিপূর্ণ? ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর মতে, হাইপারটেনশন, ফুসফুস, কিডনির রোগী ও ষাটোর্ধ্ব কোনও ব্যক্তির করোনা আক্রান্ত হলে। আপনি যদি তার সংস্পর্শে আসেন, তাহলে কোভিড পরীক্ষা (Test) করা প্রয়োজন। তা না হলে, কোভিড পরীক্ষার দরকার নেই।
এছাড়া, যে সকল ব্যক্তির কোভিডের (Corona) কোনও লক্ষণ নেই তাদের এই পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর নির্দিষ্ট দিন আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। আইসোলেশনে থাকার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর প্রয়োজন নেই কোভিড পরীক্ষার। ডাক্তারি পরামর্শ মেনে ওষুধ খেলে আর নির্দিষ্ট দিন আইসোলেশেন থাকলেই কমবে করোনা বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হল, তাহলে কখন করাবেন করোনার পরীক্ষা। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা হলে পরীক্ষা করাতে পারেন। গন্ধ চলে যাওয়া এমনকী স্বাদ না পাওয়ার মতো সমস্যা দেখলে পরীক্ষা করান। বিদেশযাত্রার সময়ও করোনা পরীক্ষা করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে দেশে গতকালের তুলনায় সাড়ে ১২ শতাংশ বেড়েছে আক্রন্তের সংখ্যা। দেশে আক্রান্ত সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার। গত ২৪ ঘন্টায় ওমিক্রন আক্রান্ত সংখ্যা ৪০০-র বেশি। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩২৭ জন। করোনার এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়েই রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয় দিল্লিতে (Delhi)। সোমবার থেকে বুস্টার ডোজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের।