সংক্ষিপ্ত
রাহুল এই আভা যদি বজায় থাকে তাহলেই তিনি দেশের রাজনীতির গেমচেঞ্জার হতে পারেন। সামনাতে এনমনই লিখেছেন সঞ্জয় রাহুল। পাশাপাশি বিজেপির শাসনের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ভারতের রাজনীতির গেম চেঞ্জার হতে পারেন রাহুল গান্ধী। এই অনুমান করছেন শিবসেনার নেতা ও উদ্ধব ঠাকরের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেছেন, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের নতুন এই 'আভা' দেখা দিয়েছে , আর এই আভা যদি গোটা ২০২৩ সাল জুড়ে এই প্রবণতা অব্যাহত থআকে তাহলে দেশের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। শিব সেনার মুখপত্র 'সামনা' পত্রিকার সাপ্তাহিক কমাল রোকথোক-এর রাহুল বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘৃণা ও বিভাজনের বীজ বপন করছেন- যা উচিৎ নয়। রাজ্যসভার সদস্য বলেন রাম মন্দির ইস্যু নিষ্পত্তি হয়েগেছে, তাই আর এই বিষয় নিয়ে ভোট চাওয়া যাবে না।
সঞ্জয় রাউত বলেন, একটি নতুন লাভ জিহাদ ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে। লাভ জিহাদ ইস্যুকে নির্বাচনে জয়ী হতে ও হিন্দুদের মধ্যে ভয় তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি। গত মাসে অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার মৃত্যু ও শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডে আফতাব পুনাওয়ালার ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, কোনও ধর্মের মহিলাকে এজাতীয় নৃশংসতার মুখোমুখী হতে দেওয়া ঠিক নয়। তিনি বলেন লাভ জিহাদ হল একটি শব্দ যা প্রায়ই ডানপন্থীরা ব্যবহার করছে। তারা বলতে চায় মুসলিম ধর্মের পুরুষরা হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিক করার জন্য একটি চক্রান্ত করছে- এমনয়ই অভিযোগ ডানপন্থীদের।
তবে ২০২৩ সালে গোটা দেশ ভয়মুক্ত হবে। তবে তার প্রধান শর্তই হল রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্য। তিনি বলেন যা চলছে তা হল ক্ষমতার রাজনীতি। আর এই উদ্দেশ্যে রাহুলকে সফল হতে হবে। তিনি বলেন ২০২২ সালে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে একটি নতুন আভা দেখা দিয়েছে। কিন্তু সেই আভা যদি ২০২৩ সাল পর্যন্ত বজায় থাকে তাহলে দেশ রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখতে পাবে। তিনি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন আমাদের সংকীর্ণ মনোভাব দূর করতে হবে। কিন্তু মজার বিষয় হল এই ঘটনা ও মনোভাব ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির শাসনে বেড়েছে। এমনই দাবি করেছেন তিনি।
সঞ্জয় রাউত বলেন, বর্তমান দেশের শাসকরা বিরোধী দলগুলির অস্তিত্ব ও অধিকার স্বীকার করতে চায় না। রাউত আরও দাবি করেছেন, হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। মোদী ও শাহের উচিত হবে না ঘৃণা ও বিভক্তির বীজ বপন করা।
আরও পড়ুনঃ
CAA-র উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘুদের ভূমিকা হ্রাস করে সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তিকে উৎসাহিত করা, বললেন অমর্ত্য সেন