সংক্ষিপ্ত

ভারত ও চিনের মধ্যে একাধিক চুক্তি হয়েছে। যার সূত্র ধরেই ২০২৫ সাল অর্থাৎ চলতি বছরই শুরু হতে পারে মানস সরবোর যাত্রা।

 

আবারও শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানসরবোর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)। ২০২৫ সালের গ্রীষ্মেই এই তীর্থযাত্রা শুরু হতে পারে। তেমনই জল্পনা শুরু হয়েছে। চিন (China) সফরে রয়েছে দেশের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। বেজিংএ চিনের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। ভারত-চিন (India-China Relation) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোটনা করে। অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং -এর মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। তারই সূত্র ধরে গ্রীষ্মকালে শুরু হতে পারে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা।

ভারত ও চিনের মধ্যে একাধিক চুক্তি হয়েছে। যার সূত্র ধরেই ২০২৫ সাল অর্থাৎ চলতি বছরই শুরু হতে পারে মানস সরবোর যাত্রা। লাদাখ ইস্যুতে গত কয়েক বছর ধরেই বন্ধ ছিল কৈলাস মানস সরবোর যাত্রা। প্রায় প্রত্যেক বছরই ১২ হাজার তীর্থযাত্রী মানস সরোবর যাত্রা করেন। কৈলাস পর্বতের সবচেয়ে উঁচু পিক ৬ হাজার ৬৭৫ মিটার। তবে সেখনে যেতে হলে ভারতীয় নাগরিকত্ব থাকতে হবে। যাত্রীদের একাধিক মেডিক্যাল ক্যাম্পে স্বাস্থ্য পরীক্ষা দিতে হবে। এই তীর্থ যাত্রা খুলে দেওয়া হলে ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা সেখানে যেতে হবে। কারণ বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী 'ভারত চিন দুই দেশই ২০২৫ সালের গরমে কৈলাস মনসরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' তবে কীভাবে এই যাত্রা আবারও শুরু করা হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

এছাড়াও ভারত-চিন দুই দেশের মধ্যে জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ এবং আন্তঃসীমান্ত নদী সম্পর্কিত অন্যান্য সহযোগিতা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আলোচনার জন্য ভারত-চিন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে প্রাথমিক বৈঠক করতেও সম্মত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে ' উভয় পক্ষই স্বীকার করে যে ২০২৫ সাল, ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী, পারস্পারিক আরও ভাল সচেতনতা তৈরি এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও ভরসা পুনরুদ্ধারের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা উচিত। এই বার্ষিকী উপলক্ষে উভয় পক্ষ বেশ কয়েকটি স্মারক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।'

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।