সংক্ষিপ্ত

  • সোমবারের পর নতুন করে কোনও সংঘর্ষের খবর নেই
  • তবে লাদাখ সীমান্তে এখনও উত্তেজনার পারদ রয়েছে সর্বোচ্চে
  • সীমান্তে দুই তরফেরই সামরিক বাহিনীর সক্রিয়তা বাড়ছে
  • খালি করা হচ্ছে চীন সীমান্ত লাগোয়া একের পর এক গ্রাম

গড় দেড়মাস ধরে লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। সেই পারদ একেবারো সর্বোচ্চে পৌঁছল সোমবার রাতে। গিলওয়ান উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালাল চিনা সেনা। পাল্টা প্রত্যুত্তর দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। এই সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন এক সেনা আধিকারিক সহ ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। লাজাখ উপত্যকা ভারতীয় জওয়ানদের রক্তে লাল হতেই ফুঁসছে গোটা দেশ। বারবার বৈঠকে বসছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে চিনকে কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এমনতি প্রধানমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে ভারত চুপ করে বসে থাকবে না। তারপরেও কূটনৈতিক স্তরে দুই তরফই চালাচ্ছে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা। কিন্তু বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও দুই বাহিনীর মেজর জেনারেল পদমর্যাদার বৈঠকে বেরোইনি সমাধান সূত্র। তাই রয়েই গিয়েছে সীমান্তে উত্তেজনার পরিস্থিতি। সেই সঙ্গেই সীমান্ত এলাকায় বাড়ছে দুই তরফেরই সামরিক বাহিনীর সক্রিয়তা। তার তার জেরেই সতর্কতা হিসাবে এবার খালি করা শুরু হয়েছে চিন সীমান্ত লাগোয়া ডেমচক ও প্যাংগং লেকের আশেপাশের গ্রামগুলি।

আরও পড়ুন: চিনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে অধরা সমাধান, রাশিয়া থেকে নতুন যুদ্ধ বিমান কেনার প্রস্তাব বায়ুসেনার

বৃহস্পতিবার গিলওয়ান উপত্যকায় প্রায় ৬ ঘণ্টা বৈঠক করেন দুই দেশের সেনাকর্তারা। তার পরেও অবশ্য পূর্ব লাদাখে ভারতের জমি ছেড়ে যাওয়ার কোনও লক্ষণ দেখায়নি পিপলস লিবারেশন আর্মি। উল্টে দখল করা ভূখণ্ডে বৃহস্পতিবার নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়েছে চিনা সেনা। এই অবস্থায় পাল্টা হিসাবে ভারতীয় সেনার ফরওয়ার্ড মুভমেন্টও বাড়ানো হয়েছে উপত্যকায়। সতর্ক করা হয়েছে চিনের নিশানায় থাকা বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিকে। তার এসবরে মাঝেই সতর্কতা হিসাবে খালি করা হচ্ছে ডেমচক ও প্যাংগং লেকের আশেপাশের গ্রামগুলিকে।  এমনকি চিন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় মোবাইল ফোনগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ল্যান্ডলাইন ফোনও বন্ধ করে দিচ্ছে সেনা।

আরও পড়ুন: লাদাখ নিয়ে আজ মোদীর সর্বদল বৈঠক, উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে থাকছেন মমতাও

লাদাখের রাজধানী লে শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। সেনার গাড়ি ছাড়া অন্যান্য সব ধরণের গাড়ির চলাচল শ্রীনগর-লে হাইওয়েতে বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি সেনাবাহিনীর সদস্যদের ছুটি বাতিলের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। গত ২ দিনে আরও বেশি করে আধাসেনা আনা হয়েছে লাদাখে। এই অবস্থায় চিনের দিকেও সীমান্তের কাছে সাঁজোয়া গাড়ির ভিড় বাড়ছে বলেও একাধিক সূত্রথেকে খবর আসছে। যদিও গত ৩ দিনে দুই তরফের মধ্যে নতুন করে সংঘাতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।