সংক্ষিপ্ত
- লাদাখ সীমান্তে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা
- এর মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গেল ভারত
- অস্থায়ী সদস্য হিসাবে অষ্টম বারের জন্য নির্বাচিত
- ভারতকে সমর্থন এশিয় ও প্রশান্ত মহাসাগরী এলাকার দেশগুলির
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ২০২১-২২ সালের অস্থায়ী সদস্যপদের জন্য দাবি জানিয়েছিল ভারত। পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী ১৭ জুন ছিল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী পদে ভোটের। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল বড় কোনও প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই এই ভোটে জিতে যাবে ভারক। হলও অবশ্য তাই। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে অষ্টম বারের জন্য নির্বাচিত হল ভারত।
জানা যাচ্ছে বুধবারের নির্বাচনে ১৯২টি বৈধ ভোটের মধ্যে ১৮৪টি ভোট ভারতের পক্ষে গিয়েছে। এশিয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ভারত নিজের আসনটি সুরক্ষিত করেছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্যরা ২ বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়। এই নির্বাচন জেতার পর ভারতের অস্থায়ী সদস্য হিসাবে মেয়াদ শুরু হবে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে।
আরও পড়ুন: চিনের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ না আপস, পরিকল্পনা সাজাতে ১৯ জুন সর্বদল বৈঠক ডাকলেন মোদী
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ২০২১-২২ সালের অস্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতের দাবিকে সমর্থন করেছে এশিয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় গোষ্ঠীর ৫৫টি দেশ। এর ফলে কার্যত বিনা ভোটাভুটিতেই রাষ্ট্রসংঘে ওই সম্মানজনক পদ ভারত পেতে চলেছে তা মোটামুটি নিশ্চিত ছিল।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষের স্থায়ী সদস্য মোট ৫টি দেশ। এরা হল আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। বাকি ১০টি অসান রয়েছে অস্থায়ী সদস্য দেশগুলির জন্য। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দেশগুলিকে এই অস্থায়ী সদস্যপদ ২ বছরের জন্য দেওয়া হয়। তার জন্য প্রতিবছর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি দেশের মধ্যে থেকে নির্বাচন হয়।
আরও পড়ুন: চিন ও পাকিস্তানের সমর্থনেই মিলল সদস্যপদ, ভারতের বড় কূটনৈতিক জয় দাবি মোদী সরকারের
এখনও পর্যন্ত, ভারত মোট ৭ বার নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ পেয়েছে। এর আগে ১৯৫০-৫১, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭২-৭৩, ১৯৭৭-৭৮, ১৯৮৪-৮৫, ১৯৯১-৯২ এবং ২০১১-১২ সালে ভারত রাষ্ট্রসংঘের অস্থায়ী সদস্যপদ পায়। এবার ভারত ছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য হল আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো ও নরওয়ে। আর আগে থেকেই অস্থায়ী সদস্যপদে রয়েছে এস্তোনিয়া, নাইজের, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রিনডাউন্স, টিউনিশিয়া ও ভিয়েতনাম।