সংক্ষিপ্ত
বিশ্বে তেলের দাম বৃদ্ধি ভারতের জন্য ভালো ইঙ্গিত নয়। ভারতকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহারের পথ খোঁজার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈশ্বিক বাজার এত দ্রুত জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেখে অর্থ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, উচ্চ মূল্য সারা বিশ্ব জুড়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। গোল্ডম্যান স্যাকস এবং সিটিব্যাঙ্ক, উভয়ই ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে ২০২৪ সালের শেষ দিকে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারে পৌঁছে যেতে পারে। সৌদি আরব এবং রাশিয়া চলতি মাসের শুরুতে আরও তিন মাসের জন্য স্বেচ্ছায় উৎপাদন হ্রাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নীয়েছে। এই ঘোষণার কারণে গত বছরের নভেম্বর থেকে তেলের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
বিশ্বে তেলের দাম বৃদ্ধি ভারতের জন্য ভালো ইঙ্গিত নয়। আমদানি থেকে অপরিশোধিত তেলের চাহিদার ৮৫ শতাংশের উপর নির্ভর করে ভারত। তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি শুধু ভারতের মতো উদীয়মান অর্থনীতির সমস্যা নয়, যা শক্তির চাহিদা মেটাতে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান বের করতে বাধ্য হচ্ছে। আমেরিকার বাইডেন প্রশাসনও পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত। বৈশ্বিক ক্ষেত্রেও বিষয়টি বড় আকার ধারণ করেছে। তেলের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে ইউরোপীয় দেশগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির পথ খোঁজার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি তেলের মূল্যের সাথে লড়াই করা ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশগুলির জন্য সংকটাপন্ন। গত দেড় বছরে জ্বালানির বিপুল খরচের কারণে সৃষ্ট ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি তৈরি হয়েছে। যদি অপরিশোধিত তেলের দাম শীঘ্রই কমানো না যায়, তাহলে তা সরাসরি বিশ্ব ব্যাঙ্কের ওপরে খারাপ প্রভাব ফেলবে।
বিদেশ থেকে হাইড্রোকার্বনের উপর নির্ভরতা কমাতে নতুন এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে ভারতকে। বিদ্যুতমন্ত্রী আর কে সিং এর মতে, দেশটি এই পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এবং এখন মোট বিদ্যুতের প্রায় ৪০ শতাংশ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। গ্লোবাল বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্সের সূচনাও বায়ো-ইথানল এবং বায়োগ্যাস সেক্টরে গতি আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।