সংক্ষিপ্ত

  • ৫০ হাজারের নিচে নামল করোনার দৈনিক সংক্রমণ
  • ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৬৯৮ জন
  • মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৮৩ জনের
  • ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৪ হাজার ৮১৮ জন

করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি নিম্নমুখী থাকলে গত কয়েকদিনে তা ফের ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছিল। বাড়তে বাড়তে তা ৬০ হাজার ছুঁতে চলেছিল। তবে শনিবার সেই গতি ফের নিম্নমুখী। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে এটা কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর দেশবাসীর কাছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের ৫০ হাজারের নিচে নেমে গিয়েছে। শুক্রবার করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ৬৬৭। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৬৯৮ জন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৪৩।

আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কমেছে মৃতের সংখ্যাও। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৮৩ জনের। এর ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৯৩। 

অ্যাক্টিভ কেস, অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা এখন ৬ লক্ষের নিচে রয়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৬৫। মাসখানেক আগেই এই সংখ্যাটা ছিল ৩৭ লক্ষের উপরে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৪ হাজার ৮১৮ জন। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৫ জন। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার ১৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮০৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ এর জন্য ৪০ কোটি ১৮ লক্ষ ১১ হাজার ৮৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। 

তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের গতি নিম্নমুখী হলেও এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই ঢেউ দেশে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। আর সেই কারণে যতটা দ্রুত সম্ভব দেশবাসীর টিকাকরণ সম্পন্ন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মধ্যে করোনার এক নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাসের খোঁজ পেয়েছেন গবেষকরা। এই প্রজাতির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে এই মুহূর্তে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কম থাকায় শুরু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশ্বের মধ্যে করোনা সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।