সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত ‘Summit for Democracy’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে মোদী বলেন ভারত গণতন্ত্রের শক্তির অন্যতম প্রতিনিধি।

বিশ্ব মঞ্চে ভারতকে গণতন্ত্রের শক্তিশালী (power of democracy) প্রতিনিধি হিসেবে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi )। শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের (video conferencing) মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত ‘Summit for Democracy’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে মোদী বলেন ভারত গণতন্ত্রের শক্তির অন্যতম প্রতিনিধি। 

গণতন্ত্র সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "গণতন্ত্র শুধু জনগণের জন্য নয়। গণতন্ত্র জনগণের সাথে থাকে এবং জনগণের মধ্যেও থাকে।" মোদী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছিলেন যে তিনি এমন একটি ইভেন্টে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত। আরও বলেছিলেন যে ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রাম এমন একটি সংগ্রাম যা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। শতাব্দীর ঔপনিবেশিক শাসন ভারতীয় জনগণের গণতান্ত্রিক চেতনাকে দমন করতে পারেনি বলে এদিন জানান মোদী। 

প্রধানমন্ত্রী মোদী শুক্রবার 'virtual summit for democracy' -তে ভাষণ দিয়েছেন, যা মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সভাপতিত্বে আয়োজন করা হয়। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তালিকা থেকে বাদ পড়ে চিন, রাশিয়া ও তুরস্ক। এতে যোগ দেয় ১১০টি দেশ। ভার্চুয়াল সামিট ফর ডেমোক্রেসি শীর্ষক এই সম্মেলনে যোগ দেয় ভারত সহ একাধিক দেশ। তবে হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত তালিকায় ঠাঁই পায়নি চিন। বেজিংয়ের সঙ্গে মুখে ভালো সম্পর্কের কথা বললেও আমেরিকার সঙ্গে আদতে সম্পর্কটা যে আদায় কাঁচকলায়, তা আরও একবার প্রমাণিত। 

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই তাইওয়ান নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই বেজিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল ওয়াশিংটনের। সেখানে তাইওয়ান ইস্যু যেমন জায়গা পেয়েছে, তেমনই উঠে এসেছে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে মানবাধিকার রক্ষার প্রসঙ্গও। বৈঠকে তাইওয়ানের কাছে চিনের সামরিক তৎপরতা, মানবাধিকার রক্ষা পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়ে নানা দ্বিমত তৈরি হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। সেই টানাপোড়েন যে এখনও মেটেনি, তা বোঝা যাচ্ছে। 

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় নেই রাশিয়াও। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি তালিকা অনুসারে এই তথ্য মিলেছে। এই তালিকায় ভারত, পাকিস্তান এবং ইরাক ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রদেশগুলি রয়েছে।

চিনকে চাপে রেখে তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মঙ্গলবার প্রকাশিত অংশগ্রহণকারীদের একটি তালিকা অনুসারে বাইডেন প্রশাসন ডিসেম্বর মাসে এই ভার্চুয়াল সম্মেলনে তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ক্ষুব্ধ হতে পারে চিন, কারণ চিন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপটিকে তার অধীন অঞ্চল হিসাবে দেখে।