সংক্ষিপ্ত

রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের রিয়েল এস্টেট সেক্টরের আউটপুট ২০৩০ সালের মধ্যে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হয়েছে। বর্তমানে এটি ৬৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দ্রুত হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাড়ছে দেশের নির্মাণ খাতও। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের নির্মাণ খাতে ১০ কোটি কর্মসংস্থান হবে। তরুণদের জন্য এটা দারুণ খবর। নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়া এবং রয়্যাল ইনস্টিটিউশন অফ চার্টার্ড সার্ভেয়ার্স (RICS) এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে নির্মাণ খাত হবে যুবকদের দ্বিতীয় বৃহত্তম নিয়োগকারী। বর্তমানে ৭.১ কোটি মানুষ নির্মাণ খাতে কাজ করছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের রিয়েল এস্টেট সেক্টরের আউটপুট ২০৩০ সালের মধ্যে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হয়েছে। বর্তমানে এটি ৬৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আগামী দিনে দক্ষ জনবলের চাহিদা বাড়বে

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মাণ খাতে দক্ষ যুবকরা বেশি কর্মসংস্থান পাবে। ভারতের রিয়েল এস্টেট এবং অবকাঠামো খাত যেমন বাড়তে থাকবে, দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়বে। নির্মাণ শিল্পে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করেছে। এতে দক্ষ জনবলের চাহিদা বেড়েছে।

নির্মাণ শিল্পে ৮১ শতাংশ অদক্ষ শ্রমিক রয়েছে

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের নির্মাণ শিল্প দ্বিতীয় বৃহত্তম নিয়োগকারী। ২০২৩ সালে, এটি ৭.১ কোটি মানুষকে কাজ দিয়েছে। নির্মাণ শিল্পে কর্মরত লোকদের মধ্যে ৮১ শতাংশ অদক্ষ শ্রমিক। দক্ষ শ্রমিক মাত্র ১৯ শতাংশ। দক্ষ জনবলের চাহিদা আসবে ডেভেলপার এবং নির্মাণ কোম্পানি থেকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যুবসমাজকে দক্ষ করে তোলার পরিকল্পনা চালাচ্ছে। ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (এনএসডিসি) অনুমান করে যে নির্মাণ শিল্পে কর্মরত মোট লোকের ৮৭ শতাংশ রিয়েল এস্টেটে কাজ করে। ১৩ শতাংশ অবকাঠামো খাতে নিযুক্ত। নির্মাণ শিল্পে নিয়োজিত ৭১ মিলিয়ন লোকের মধ্যে ৪৪ লাখ দক্ষ শ্রমিক। এর মধ্যে রয়েছে প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ এবং কেরানি কর্মী। ৬৯ লক্ষ বৃত্তিমূলকভাবে প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছে।