জনগণনা ২০২৭: দেশের ইতিহাসে প্রথমবার সম্পূর্ণ ডিজিটাল জনগণনা হতে চলেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এর অনুমোদন দিয়েছে। ২০১১ সালের পর এটিই প্রথম জনগণনা।
২০২৭ সালের জনগণনার জন্য বিশাল বাজেট
কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৭ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা জনগণনার জন্য ১১,৭১৮ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। এবার দেশের ইতিহাসে প্রথমবার সম্পূর্ণ ডিজিটাল জনগণনা হবে। একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ২০১১ সালের পর এটিই প্রথম জনগণনা। ২০২১ সালের সমীক্ষা করোনার কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল।
১৫০ বছরের ইতিহাসে ২০২৭ সালের জনগণনা বিশেষ
ভারতে ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জনগণনা হয়ে আসছে। শেষবার ২০১১ সালে জনগণনা সম্পন্ন হয়েছিল। নতুনভাবে, ২০২৭ সালের ১ মার্চের মধ্যরাতের সময়কে ভিত্তি করে দেশের জনসংখ্যা গণনা করা হবে। এটি স্বাধীন ভারতে অষ্টম এবং সামগ্রিকভাবে ১৬তম জনগণনা।
দুটি পর্যায়ে জনগণনা
জনগণনাকে দুটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে:
• প্রথম পর্যায় (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর ২০২৬):
সারা দেশে বাড়ির সংখ্যা, অবস্থা এবং সুযোগ-সুবিধার বিবরণ সংগ্রহ করা হবে। যেকোনো রাজ্য ৩০ দিনের সময় বেছে নিতে পারে।
• দ্বিতীয় পর্যায় (ফেব্রুয়ারি ২০২৭):
লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীরের পাহাড়ি অঞ্চল, হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডের বরফ ঢাকা এলাকায় সমীক্ষা ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ করা হবে। কারণ শীতকালে সেখানে সমীক্ষা চালানো কঠিন।
প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ডেটা সিস্টেম
২০২৭ সালের জনগণনার সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো ডিজিটাল প্রক্রিয়া।
* সমস্ত বিবরণ একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপে রেকর্ড করা হবে
* রিয়েল-টাইম আপডেট হওয়ার ফলে ভুলের সম্ভাবনা কমবে
* মানুষ নিজে থেকেও অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সুযোগ পাবে
* বাড়ির অবস্থান নথিভুক্ত করার জন্য নতুন ওয়েব ম্যাপ টুল ব্যবহার করা হবে
এই পরিবর্তনগুলির ফলে সমীক্ষা দ্রুত, নির্ভুল এবং স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হবে।
জাতির তথ্যও ডিজিটালভাবে সংগ্রহ করা হবে
২০২৭ সালের জনগণনায় জাতিগত তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। স্বাধীন ভারতে প্রথমবারের মতো জাতিগত তথ্য ডিজিটাল আকারে রেকর্ড করা হবে। এটি সামাজিক নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রতিটি ব্যক্তির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী বড় আকারের সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো হবে। গ্রাম, শহর এবং মেট্রো শহর পর্যন্ত এই প্রচার চালানো হবে।
৩০ লক্ষ কর্মী
এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ফিল্ড অপারেশন হতে চলেছে। প্রায় ৩০ লক্ষ কর্মী এতে কাজ করবেন। বেশিরভাগ সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা এই দায়িত্বে অংশ নেবেন। ১৮,৬০০ জনের একটি টেকনিক্যাল টিম ৫৫০ দিন ধরে সিস্টেম পরিচালনা করবে। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার ফলে ১.০২ কোটি কর্মসংস্থানের দিন তৈরি হবে। এই বিশাল ব্যবস্থা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে আধুনিক ডিজিটাল জনগণনা হিসেবে পরিচিতি পেতে পারে।


