সংক্ষিপ্ত

  • ঘুমের দেশে পাড়ি দিল ভারতের একমাত্র ওরাংওটাং
  • ওড়িশার নন্দনকাননে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ওরাংওটাং 'বিন্নি'
  • মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪১ বছর

ঘুমের দেশে পাড়ি দিল ভারতের একমাত্র ওরাংওটাং বিন্নি। বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে অবশেষে গতকাল রাতে ওড়িশার নন্দনকাননে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে দেশের একমাত্র ওরাংওটাং বিন্নি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪১ বছর। 

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বুধবার রাত ৯টা বেজে ৪০মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় ওই ওরাংওটাং-এর। ২০০৩ সালের ২০ নভেম্ব, পুনের রাজীব গান্ধী চিড়িয়াখানা থেকে ওড়িশার নন্দনকাননে আনা হয়েছিল তাকে। সেই সময়ে তার বয়স ছিল মাত্র ২৫। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওরাংওটাং-টিকে দেখতে নন্দনকাননে ভিড় জমাত বহু পর্যটক।  

শিশুদের জন্য ২০০০০০০০ টাকা, ওড়িশায় মানবিকতায় নজির ডিজনি-র

অসুস্থ মা-কে দু'মুঠো খাওয়াতে ভিক্ষা করছে একরত্তি মেয়ে

সূত্রের খবর, গত এক বছর ধরেই বার্ধ্যক্যজনিত নানারকম সমস্যায় ভুগছিল বিন্নি। বয়সজনিত কারণে মূত্রথলিতে সংক্রমণ হয়েছিল তার। শেষের দিকে শারীরিক অবস্থা এতটাই গুরুতর হয়ে উঠেছিল যে গত এক মাস ধরে তাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখেছিল চিকিৎসকরা। বিন্নির চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ও ব্রিটেন থেকে এদেশে এসেছিলেন ওরাংওটাং বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কোনওকিছুতেই আর শেষ রক্ষা করা গেল না। মৃত্যু হল, প্রবীণ এই ওরাংওটাং-এর। 

প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতেই সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে এই বিলুপ্ত প্রজাতির এই প্রাণী। তবে বর্তমানে সুমাত্রার বৃষ্টি অরণ্যেই রয়েছে এদের বাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাণীদের মধ্যে সবথেকে বুদ্ধিমান এই প্রাণীর আয়ু ৪৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বিন্নির ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা জানতে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে বিন্নির দেহ।