সংক্ষিপ্ত

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “মালেতে আমাদের হাইকমিশনার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। অনেক বিষয়ে দুজনের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে।

মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর বিষয়ে ফের উত্তাপ বাড়ছে। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে ভারত মালদ্বীপের নতুন সরকারের সঙ্গে প্রতিটি বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচিকে মালদ্বীপের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জুর বক্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপ ছেড়ে যেতে বলা হতে পারে।

বুধবার সন্ধ্যায়, মালদ্বীপে ভারতের হাইকমিশনার মুনু মহাভার মহম্মদ মুইজ্জুর সাথে দেখা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অভিনন্দন বার্তা দেন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “মালেতে আমাদের হাইকমিশনার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। অনেক বিষয়ে দুজনের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে। এই কথোপকথনে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়গুলিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।মোহাম্মদ মুইজ্জুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন তা জানায়নি ভারতের বিদেশমন্ত্রক।

২০১৮ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইব্রাহিম সোলিহের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এটি ভারতের কাছ থেকে একটি অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ ছিল। গত সপ্তাহে মহম্মদ মুইজ্জু ১৯ হাজার ভোটে রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম সোলিহকে পরাজিত করেন। দুজনের মধ্যে পরাজয়ের ব্যবধান ছিল আট শতাংশ ভোট। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে মালদ্বীপের এই নির্বাচনী ফলাফল ভারতের বিপক্ষে এবং চিনের পক্ষে। ইব্রাহিম সোলিহ সরকারের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতা ছিল অত্যন্ত গভীর। তাকে এমন একজন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখা হতো যিনি ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবেন না।

মুইজ্জুর নির্বাচনী প্রচারে ভারত ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইনও শুরু করেছিলেন। মুইজ্জু বলেন, তার সরকার মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করে কোনো দেশের কাছাকাছি যাবে না। মঙ্গলবার মুইজ্জুর আরেকটি বক্তব্য মালদ্বীপের গণমাধ্যমে শিরোনামে ছিল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, "মানুষ মালদ্বীপে ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতি চায় না। বিদেশী সেনাদের মালদ্বীপের মাটি ছাড়তে হবে।