সংক্ষিপ্ত
ফেক নিউজ (Fake News) অপসারণ নিয়ে ফেসবুক (Facebook), টুইটার (Twitter), গুগলের (Google) সঙ্গে উত্তপ্ত বৈঠক ভারতের। তলানিতে ঠেকল মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে মোদী সরকারের (Modi Govt) সম্পর্ক।
ফেক নিউজ (Fake News) অর্থাৎ ভুয়ো খবর বর্তমান সমাজের অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার, এই ভুয়ো সংবাদ সক্রিয়ভাবে অপসারণ না করা নিয়েই ফেসবুক (Facebook), টুইটার (Twitter), গুগলের (Google) মতো বৃহৎ সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়ালো ভারত। এদিন এই তিন সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট এবং দুই ভারতীয় কনটেন্ট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম শেয়ারচ্যাট (ShareChat) এবং কু-এর (Koo) সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Ministry of Information and Broadcasting ) কর্মকর্তাদের। সেখানেই আমেরিকান তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে মোদী সরকারের সম্পর্ক, একেবারে তলানিতে ঠেকার উপক্রম হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কর্মকর্তারা সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ভুয়ো খবরের বিষয়ে তাদের নিষ্ক্রিয়তাই ভারত সরকারকে কিছু কিছু কনটেন্ট সরিয়ে দেওয়ার আদেশ দিতে বাধ্য করছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক মলে স্বাধীন মতপ্রকাশকে দমন করার অভিযোগে সমালোচিত হচ্ছে আমাদের দেশ। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ কঠোর করা হলেও, সংস্থাগুলিকেও কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। বৈঠকের আবহাওয়া গরম থাকলেও, এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে কোনও আলটিমেটাম দেওয়া হয়নি বলেই সংশ্লিষ্ট এক সূত্র দাবি করেছে।
২০২১ সালের ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক 'জরুরিকালীন ক্ষমতা' ব্যবহার করে, গুগল সংস্থার ইউটিউব (YouTube) প্ল্যাটফর্মের ৫৫টি চ্যানেল এবং বেশ কিছু টুইটার এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিল। সরকার দাবি করেছিল, ওই চ্যানেলগুলি 'ভুয়ো খবর', 'ভারত-বিরোধী' বিষয়বস্তু প্রচার করছে। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান থেকে ওই অ্যাকাউন্টগুলি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এবং সেগুলির মাধ্যমে আমাদের দেশে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সেই নির্দেশেরই ফলো-আপ হিসাবে এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছিল।
এই বৈঠক নিয়ে, সরকার, ফেসবুক (এখন মেটা), টুইটার এবং শেয়ারচ্যাট কিছু জানাতে চায়নি। গুগল সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেই বিবৃতিতে বৈঠকের বিষয়ে কিছু না বলা হলেও, সংস্থা বলেছে, সব জায়গাতেই সরকারের অনুরোধ পর্যালোচনা করে এবং স্থানীয় আইন মেনেই বিষয়বস্তু অপসারণ করা হয়। কু-ও স্থানীয় আইন মেনে চলে এবং বিষয়বস্তু পর্যালোচনা ও অপসারণের দৃঢ় অনুশীলন করে থাকে বলে দাবি করেছে।