সংক্ষিপ্ত
তাওয়াং-এ ভারত -চিন সংঘর্ষের পর, অগ্নি -৫ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সফল হলো ভারত। তবে কি যুদ্ধ মহড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ভারতের ? প্রশ্ন তুলছে একাংশ।
২০১৪য় বিজেপি ভারতবর্ষের মসনদ দখলের পর থেকেই ভারতবর্ষের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে এসেছে নানা বদল। সেনাবাহিনীর জন্য নয়া বিমানবন্দর নির্মাণ থেকে শুরু করে নিজস্ব বিমান নির্মানের পরিকল্পনা -একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে প্রতিরক্ষা দপ্তরে। এবং রাজনাথ সিং এর উদ্যোগ নিয়ে এসেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষায় বিপ্লব। তারই অন্যতম এক নজির ফের স্থাপন হলো আজ।
৯ ই ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং-এ ভারত -চিন সংঘর্ষের পর, অগ্নি -৫ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সফল হলো ভারত। তবে কি যুদ্ধ মহড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ভারতের ? প্রশ্ন তুলছে একাংশ।
ডিআরডিও-র নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই অগ্নি-৫। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। ৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে এটি । এবং অনেক দূর থেকেই নিখুঁত ভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই অগ্নি-৫। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে সম্মুখ সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত এবং চিনের সেনা। তার মধ্যে ভারতের অগ্নি-৫-এর মতো ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত দুই দশক ধরে ভারত সরকার অগ্নি-১, অগ্নি-২, অগ্নি ৩, অগ্নি-৪ এবং অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে। এবং প্রতিটিতেই সফল হয়েছে ভারত। এই সফলতার ফলক অব্যাহত রাখতে তৎপর ভারত। তাই প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ২০২১ সালে আনে অগ্নি -পি। এটি প্রধানত অগ্নি শ্রেণীর আধুনিকতম ক্ষেপণাস্ত্র।
অন্যদিকে এই মিসাইল পরীক্ষার জন্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ অন্যান্য জেলায় সন্ধ্যার আকাশে আচমকা দেখা যায় অদ্ভুত আলো। এই রহস্যময় আলোর সঙ্গে ওই মিসাইল পরীক্ষার যে যোগ থাকতে পারে সে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞমহলের একাংশ।