সংক্ষিপ্ত
উন্নয়নমুখী ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের ডিজিটালাইজেশন বা ডিজিটাল ভারত। এই ডিজিটালাইজেশন এমন এক উপভোক্তার প্রজন্ম তৈরি করেছে, যারা অর্থনীতির যাবতীয় খুঁটিনাটিতেও ডিজিটাল ভাবে নির্ভরশীল।
১৯৯১ সালে অর্থনীতির উদারীকরণের ৩০ বছরের মধ্যে, ভারতের অর্থনীতি আকারে বেড়েছে প্রায় ৯গুণ (India’s economy has grown 9x)। এই আধুনিক, মুক্ত বাজারে ভারতীয় উপভোক্তাদের প্রজন্ম ধীরে ধীরে দেশের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা(employment) লাভ করেছে। যা অর্থনীতির অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সমীক্ষা বলছে ভারত আগামী দিনে ট্রিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল অর্থনীতি (1 trillion digital economy) রূপায়িত করার ক্ষেত্রেও মুখ্যভূমিকা গ্রহণ করেবে।
এই উন্নয়নমুখী ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের ডিজিটালাইজেশন(digitization) বা ডিজিটাল ভারত (Digital India)। এই ডিজিটালাইজেশন এমন এক উপভোক্তার প্রজন্ম তৈরি করেছে, যারা অর্থনীতির যাবতীয় খুঁটিনাটিতেও ডিজিটাল ভাবে নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন - ১০০ টাকা বিনিয়োগে পাঁচ বছরে হাতে ২০ লক্ষ টাকা, মোদী সরকারের দারুণ স্কিম
ডিজিটালাইজেশনের জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নতি
১. দেশের টেলি-ঘনত্ব ১ শতাংশের কম ছিল। সেখানে আজ গোটা দেশে ৯০ শতাংশের বেশি টেলি ঘনত্ব বেড়েছে।
২. ভারতীয় উপভোক্তারা তাদের মোবাইল ডিভাইসে ডেটা ব্যবহার করে। ডায়াল-ইন এবং ফিক্সড লাইন সংযোগগুলি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্রেডিট, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো পরিষেবা পাচ্ছেন দেশের মানুষ।
৩. বেড়েছে ই-কমার্সের সুযোগ। চিনের মতই ভারতের প্রযুক্তিগত অ্যাক্সেস বেড়েছে
ভারতে ডিজিটালাইজেশনের মূল লক্ষ্য, বিশেষ গবেষণা, উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় রোডম্যাপ তৈরি করা আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা করা। পাশাপাশি ডিজিটাল পণ্যের ব্যবসায়িক স্থায়িত্বকে সুনিশ্চিত করা। মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে বেশ কয়েকটি মাইল স্টোন ছুঁয়ে ফেলতে পারবে ভারত।
কোন কোন হার্ডল টপকেছে ভারত
১. দ্রুত ইন্টারনেট-প্রথম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি
২. ৪৫০ মিলিয়নেরও বেশি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
৩. তিন বছরে ধরে ডিজিটাল ভারত প্রকল্পের গতি বৃদ্ধি ও মেক ইন ইন্ডিয়া বিশ্বায়ন
৪. ৪০ হাজারেরও বেশি স্টার্টআপকে উৎসাহ দান
পরিসংখ্যান বলছে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিজিটাল ইন্ডিয়া চালু করার পর থেকে ভারত ক্রমশই এগিয়ে চলছে। বর্তমানে ভারত রয়েছে ৪৬ তম স্থানে। ২০১৪ সালে ভারতের স্থান ছিল ৬৬তম। সেখানে থেকে কুড়ি ধাপ এগিয়েছে ভারত। ভারতের এই সাফল্য স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের আরও উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন-- পুজোর আগেই বড় উপহার নরেন্দ্র মোদীর, সাধারণ মানুষের জন্য চমক প্রধানমন্ত্রীর
২০২১ সালে ২৭টি ইউনিকর্ন আর ২০ বিলিয়নের তহবিল দেখেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে। এটি কেবলমাত্র স্টার্টআপ নয় সরকারি পিএলআই স্কিমেও অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে। ইলেকট্রনিক্স হার্ডওয়ারের জন্য অনুমোদিত প্রস্তাবগুলি আগামী ৪ বছরে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্য মাত্রাও নিয়েছে।
"