সংক্ষিপ্ত
ভারতীয় বায়ুসেনার একটি C-17 বিমানে ৪৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিমের সাথে রওনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিটিকাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য ভারতসহ সারা বিশ্বের সাহায্যকারী দলগুলো তাদের উদ্ধারকর্মী, আর্থিক সাহায্য ও সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে। ভারত মঙ্গলবার চারটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর C-17 গ্লোবমাস্টার সামরিক পরিবহন বিমান দ্বারা ত্রাণ সরবরাহ এবং একটি ৩০ শয্যার চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার জন্য একটি সেনা ফিল্ড হাসপাতালও পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রথম C-17 তুরস্কে পৌঁছেছে।
ভারতীয় বায়ুসেনার একটি C-17 বিমানে ৪৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিমের সাথে রওনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিটিকাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন। একই সময়ে, সিরিয়ায় আটকে পড়া মানুষদের সাহায্য করার জন্য, ভারত ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান C-130-এর মাধ্যমে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে। ৬ টন জরুরি ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিমান সিরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
সোমবার থেকে তুরস্কে উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে ভারত
এটি উল্লেখ করার মতো যে আন্তর্জাতিক ফোরামে তুরস্কের ভারত-বিরোধী অবস্থান সত্ত্বেও, মোদী সরকার ২০০ NDRF কর্মী, স্নিফার কুকুর এবং ওষুধ সহ একটি মেডিকেল দল তুরস্কে পাঠিয়েছে। ভারত বলেছে যে এটি বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কুকুর এবং চিকিৎসা কর্মী সহ দুটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠাবে। সোমবার রাতে, বিমান বাহিনীর একটি C-17 বিমান তুরস্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। এনডিআরএফ অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে এই বিমানটি উড়ে যায় তুরস্কে। অন্যান্য ভারতীয় সংস্থাগুলির সাথে আইএএফের একটি বৃহত্তর ত্রাণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই বিমানকে পাঠানো হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী তুরস্কে ৮৯ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে। এই দলে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন এবং এক্স-রে মেশিন, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন উৎপন্নকারী প্ল্যান্ট, কার্ডিয়াক মনিটর এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত। উল্লেখ্য ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৭১০০ ছাড়িয়েছে। তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৫৪৪ এবং সিরিয়াতেও ভূমিকম্পে ১৮০৩২ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অপর একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, প্রয়োজনীয় ওষুধের সঙ্গে প্যারামেডিকদের রাখা হচ্ছে একটি মেডিক্যাল টিমে। ত্রাণ সামগ্রী তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়ে। আঙ্কারায় ভারতীয় দূতাবাস ও ইস্তাম্বলের কনস্যুলেট জেনারেলের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেই এই ত্রাণ সামগ্রী পাঠান হবে। আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
মধ্য তুরস্ক ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। ভূমিকম্পে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক ডজনেরও বেশি আফটার শকে দুটে ওঠে দুটি দেশ। পাশাপাশি পরপর তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। যা তুরস্কের ইতিহাসে প্রথম।