সংক্ষিপ্ত
লাদাখ থেকে সরছে চিন সেনা
তারপরেও সতর্কতা ও প্রস্তুতিতে খামতি রাখছে না ভারত
বৃহস্পতিবার লাদাখে মোতায়েন করা হল তিনটি 'কে-৯ বজ্র হাউইতজার' কামান
গুজরাতের সুরাতে এই কামান তৈরি করছে লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো
ধীরে ধীরে লাদাখ থেকে সরছে চিন সেনা। কিন্তু তারপরেও সতর্কতা ও প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছে না ভারতীয় সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার লাদাখের সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে সেনার পক্ষ থেকে তিনটি 'কে-৯ বজ্র হাউইতজার' কামান মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে ভারতায় সেনা মোট ১০০টি কে-৯ বজ্র কামান সংগ্রহের জন্য বরাত দিয়েছিল। এদিনই গুজরাতের সুরাত থেকে এই বরাতের শেষ কামানটি সংগ্রহ করেন ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সংশ্লিষ্ট সরকারী সূত্র জানিয়েছে, লাদাখের সুউচ্চ পাহাড়ি পরিবেশে হাউইতজদার কামানগুলি কতটা কার্যকর তা পরীক্ষা করার জন্যই, প্রাথমিকভাবে তিনটি কে-৯ বজ্রকে উচ্চ সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছে। কামানগুলি ওই উচ্চতায় কার্যকরী প্রমাণিত হলে ভারতীয় সেনাবাহিনী লাদাখের উচ্চতায় আরও দুই-তিনটি অতিরিক্ত স্বয়ংক্রিয় হাউইতজার কামান অর্ডার করতে পারে।
কে-৯ বজ্র কামান বস্তুত দক্ষিণ কোরিয়ার কে-৯ থান্ডার কামানের ভারতীয় সংস্করণ। দক্ষিণ কোরিয়ার এক প্রতিরক্ষা উত্পাদন সংস্থার কাছ থেকে ১০০ টি এই ধরণের কামান সংগ্রহের জন্য অর্ডার দিয়েছিল ভারত। কোরিয় সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কামানগুলি গুজরাতের সুরাতের কাছের এক কারখানায় তৈরি করছে লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো সংস্থা। গত দুই বছর ধরেই এক এক করে এই কামানগুলি বাহিনীর বিভিন্ন রেজিমেন্টে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। স্ব-চালিত এই কামানগুলির পাল্লা ৩৮ কিলোমিটার।
১৯৮৬ সালে বোফর্স কামান সংগ্রহ সম্পর্কিত কেলেঙ্কারীর পর থেকে দীর্ঘদিন ভারত নতুন কোনও ভারী কামান সংগ্রহ করেনি। তবে বর্তমানে বজ্র, ধনুশ এবং এম ৭৭৭ আল্ট্রা-লাইট হাউইতজার কামান সংগ্রহ করা শুরু করেছে। এরপর ভারতেই ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা DRDO-র তৈরি অ্যাডভান্সড টোড আর্টিলারি গান সিস্টেম বা ATSS সংগ্রহ করা হবে।