সংক্ষিপ্ত

দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য খুশির খবর। রাষ্ট্রসংঘের তরফ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর রাধিকা সেনকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হবে। রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ সদস্য হলেন মেজর রাধিকা। তাই তাঁর হাতে এই বিশেষ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য খুশির খবর। রাষ্ট্রসংঘের তরফ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর রাধিকা সেনকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হবে। রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ সদস্য হলেন মেজর রাধিকা। তাই তাঁর হাতে এই বিশেষ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

আগামী ৩০ মে বৃহস্পতিবার, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের হাত থেকে মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট অ্যাওয়ার্ড নেবেন মেজর রাধিকা সেন। প্রসঙ্গত, গত ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। আর তারপরই রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধীনে থাকা অর্গানাইজেশন স্টেবিলাইজেশন ইন দ্য ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর সদস্য হন তিনি। সেইসঙ্গে, ইন্ডিয়ান র‌্যাপিড ডেপ্লয়মেন্ট ব্যাটলিয়নের এনগেজমেন্ট প্ল্যাটুন কম্যান্ডোর হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন এই রাধিকা।

মেজর রাধিকা সেন ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সেই দায়িত্বেই বহাল ছিলেন। অন্যদিকে, এই সম্মান গত ২০১৯ সালে পান মেজর সুমন গাওয়ানি। তারপর আবার ২০২৪ সালে এই সম্মান পেতে চলেছেন আরেক মহিলা মেজর।

কে এই রাধিকা সেন? একটু ঘুরে আসা যাক তাঁর ছাত্রজীবন থেকে। তিনি মূলত হিমাচলপ্রদেশের বাসিন্দা। বায়োটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে রাধিকা যোগ দেন আইআইটি বম্বেতে। সেখানে মাস্টার্স শেষ করে যুক্ত হন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে। তারপর রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিবাহিনীর সদস্য হিসেবে শিশু এবং মহিলাদের জন্য প্রচুর কাজ করেছেন রাধিকা। তাঁর ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের গলায়। রাধিকাকে সত্যিকারের একজন নেত্রী এবং রোলমডেল হিসেবে দাবি করেছেন গুতেরেস।

গুতেরেস জানান, “মানবিকতা এবং দায়বদ্ধতার অন্যতম সেরা উদাহরণ হল আমাদের রাধিকা সেন।” অন্যদিকে, এই সম্মান পাওয়ার বিষয়ে মুখ খুলেছেন মেজর রাধিকা নিজেও। তাঁর মতে, “আমার এই সম্মান বাস্তবে অন্যান্য সদস্যদেরও স্বীকৃতি দেয়। যারা শান্তি রক্ষার স্বার্থে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে অনবরত। সেইসঙ্গে, এটি সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতেও অনুপ্রেরণা জোগাবে। লিঙ্গ সংবেদনশীলতা বজায় রেখে আমাদের সকলের দায়িত্ব শান্তিরক্ষা করা।”

নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রসংঘের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।