আরব সাগরে ১০টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন ভারতীয় নৌবাহিনীর, জেনে নিন কারণ
- FB
- TW
- Linkdin
আরব সাগরে এত বেশি সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করার পেছনের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে সোমালিয়ার উপকূলে একটি জাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা। জলদস্যুরা এই জাহাজটি ছিনতাই করার চেষ্টা করেছিল।
এই জাহাজে ২১ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে ১৫ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। এই ঘটনার পর নৌবাহিনী তাদের অভিযান আরও জোরদার করেছে। যাতে আরব সাগরে ড্রোন হামলা ও জলদস্যুদের উৎপাত বন্ধ করা যায়।
ভারত উত্তর ও মধ্য আরব সাগর থেকে এডেন উপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় ১০টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে। যেখানে মেরিন কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, উন্নত সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযান ভারত স্বাধীনভাবে পরিচালনা করছে। ডিসেম্বরে লোহিত সাগরে চালু হওয়া মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক 'অপারেশন সমৃদ্ধি গার্ডিয়ান' থেকেও ভারত নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য যে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বেসামরিক এবং সামরিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করার ঘটনার পর আমেরিকা লোহিত সাগরে এই অভিযান শুরু করেছিল। ভারত ক্রমাগত তার সীমান্ত সুরক্ষিত করে চলেছে। সেটা স্থল সীমান্ত হোক বা জলসীমা। আরব সাগরে বিপুল সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনও এর একটি অংশ। যাতে ভারতীয় জাহাজগুলোকে জলদস্যু ও ড্রোন হামলা থেকে বাঁচানো যায়।
ভারতও সাগরে নজরদারির জন্য প্রিডেটর ব্যবহার করছে। ভারত ইতিমধ্যেই দূরপাল্লার P-8I মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এবং মেরিটাইম পেট্রোল ড্রোন মোতায়েন করেছে। এছাড়া গোয়েন্দা, নজরদারি ও রিকনেসান্স মিশনও পরিচালিত হচ্ছে।
এর আগে ভারতীয় নৌবাহিনী আইএনএস কোচি, আইএনএস কলকাতা, আইএনএস মুরমুগাও আইএনএস চেন্নাই এবং বহু-ভূমিকা ফ্রিগেট আইএনএস তালওয়ার এবং আইএনএস তর্কাশ সমুদ্রে মোতায়েন করেছিল। এগুলি ছাড়াও সামুদ্রিক নজরদারি ও নিরাপত্তার জন্য ডর্নিয়ার এবং হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হয়েছিল।
ভারতীয় এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের কার্যকর নজরদারি নিশ্চিত করতে ভারতীয় নৌবাহিনী কোস্ট গার্ডের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। নৌবাহিনী তার সামুদ্রিক সীমান্তের পাশাপাশি বাইরের এলাকা অর্থাৎ ভারতীয় একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যকর নজরদারির জন্য কোস্ট গার্ডের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।