সংক্ষিপ্ত

বিমান হামলা মোকাবিলার জন্য তৈরি ব়্যাডারে ধরা পড়ে না এমন ড্রোন বা তার মতো ছোট মাপের উড়ন্ত বস্তু দিয়ে হামলার মুখোমুখি হতে কি ভারত প্রস্তুত? ব্যাখ্যা করলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফ্টেন্যান্ট কর্নেল নবীন নভলানি।

 

২৭ জুন জম্মুতে বায়ুসেনার একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়েছিল। পরের কয়েকদিনে আরও বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটির কাছে অজ্ঞাতপরিচয় ড্রোন গোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। এর থেকে একটা বড় প্রশ্ন উঠে এসেছে। এই হামলা কি নিরাপদ আশ্রয়স্থল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অস্ত্র পাচারের বৃহত পরিকল্পনারই অংশ? ভারতে এর আগেও আড়ালে থেকে হামলা চালিয়েছে পাক জঙ্গিরা।এটা সেই ধারারই সর্বশেষতম সংস্করণ। ড্রোনের মতো উড়ন্ত বস্তু, যা কিনা বিমান হামলা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাডারগুলিতে ধরা পড়ে না, তাই দিয়ে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভারত কি এই ধরণের হামলার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত? কী বললেন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নবীন নভলানি, দেখুন-

ভারতে, ডিআরডিও-সহ বিভিন্ন সংস্থা তাদের ড্রোন-বিরোধী প্রকল্পগুলিকে বর্তমানে প্রযুক্তিতে বাস্তবায়িত করছে। ভারতের ড্রোন শিল্প নিজেই এই ধরণের হামলার চ্যালেঞ্জগুলির কথা জানে। কাজেই বর্তমানে আমাদের হাতে যে প্রযুক্তি রয়েছে, ভবিষ্যতে তার থেকে আরও ভাল প্রযুক্তি আসবে। ড্রোন সম্পর্কিত যে নিরাপত্তার হুমকি, তার অবশ্যই সমাধান করা দরকার। বলা বাহুল্য, ড্রোন প্রযুক্তি, এবং অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি, একটি ইঁদুর-বিড়াল খেলার মতো।

একইসঙ্গে কর্নেল নবীন নভলানি, পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, সীমানা পেরিয়ে জঙ্গিরা যদি ড্রোন হামলা করতে পারছে, তখন পাক ভূমেও তারা ড্রোনের অপব্যবহার করতে পারে। তিনি আরও জানান, সৌদি আরবে আরমকো সংস্থার তেলের কারখানাতেও হামলার পিছনে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। এই কারণেই জ্বালানী কারখানা এবং অন্যান্য ভিআইপি অঞ্চলগুলির মতো সংবেদনশীল অঞ্চলে দেশে অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটটেন্যান্ট।