Israel Iran Conflict: ওপেক জুলাই মাসে প্রত্যাশার চেয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা করায়, মূলত তেল বাজারে পর্যাপ্ত তেল রয়েছে এবং ইরান থেকে তেল না এলেও কোনও সঙ্কট হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের আকস্মিক বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে, বিশ্ব বাজারে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ৬ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৮ ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে, যা পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বিশ্ব বাণিজ্যের উপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় আমেরিকান শেয়ার বাজারেও বড় প্রভাব দেখা দিয়েছে। তেল আভিবের উপর ইরানের বিমান হামলায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটস-এর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সংঘাতের ফলে তেল এবং গ্যাসের দাম সাময়িকভাবে বৃদ্ধি পেলেও, তেল রপ্তানিতে যদি তার প্রত্যক্ষ প্রভাব না পড়ে, তাহলে দামের ওঠানামা বেশিদিন স্থায়ী হবে না।

ভারত, ইরান থেকে সরাসরি তেল আমদানি করে না বললেই চলে। তবে দেশের তেলের চাহিদার প্রায় ৮০% আমদানি নির্ভর। ইরানের উত্তর এবং আরব উপদ্বীপের দক্ষিণে অবস্থিত হরমুজ প্রণালী একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক জলপথ। বিশ্বের প্রায় ২০% এলএনজি বাণিজ্য এবং অশোধিত তেল রপ্তানির এক বিশাল অংশ এই সংকীর্ণ জলপথ দিয়েই হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হরমুজ প্রণালীতে যেকোনও ব্যাঘাত ইরাক, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে তেল রপ্তানিকে প্রভাবিত করতে পারে। 

তাছাড়া এই দেশগুলি ভারতের প্রধান তেল সরবরাহকারী। এই পথে কোনওরকম ব্যাঘাত হলে, রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আগে ইরান এই গুরুত্বপূর্ণ পথ অবরোধ করার হুমকি দিয়েছিল।

ওপেক জুলাই মাসে প্রত্যাশার চেয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা করায়, মূলত তেল বাজারে পর্যাপ্ত তেল রয়েছে এবং ইরান থেকে তেল না এলেও কোনও সঙ্কট হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই কথা ঠিক যে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ৬ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৮ ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে, যা পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।