সংক্ষিপ্ত
মহাকাশচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রথম ক্রু মডিউল পরীক্ষা করবে ইসরো। ISRO-এর লক্ষ্য তিন দিনের গগনযানের সফর।
কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। সপ্তমীর সকালে মহাশূন্যে উড়ে ভারতের মহাকাশযান গগনযান। প্রথম মানব মহাকাশ ফ্লাইট প্রোগ্রামের জন্য পুরোপুরি তৈরি হচ্ছে ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো। সপ্তমীর সকালে প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হবে। তারই প্রস্তুতি প্রায় সারা।
মহাকাশচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রথম ক্রু মডিউল পরীক্ষা করবে ইসরো। ISRO-এর লক্ষ্য তিন দিনের গগনযানের সফর। এই মিশনের জন্য ৪০০ কিলোমিটার পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে পাঠাতে চায়। ইসরোর মূল উদ্দেশ্য যাত্রীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। ISRO তার টেস্ট ভেহিকেল (TV-D1), একটি একক-পর্যায়ের লিকুইড রকেট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করবে। মহাকাশ বন্দরের প্রথম লঞ্চ প্যাড থেকে ২১ অক্টোবর সকাল ৮টায় উৎক্ষেপণ হবে।
টেস্ট ভেহিক্যাল মিশন সামগ্রিক গগনযান প্রোগ্রামের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক কারণ একটি প্রায় সম্পূর্ণ সিস্টেম একটি ফ্লাইট পরীক্ষার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের সাফল্যের ওপর নির্ভর করে প্রজেক্টের বাকি অংশের সাফল্য।
ভারত ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত মহাকাশচারী পাঠাতে চায়। সেই কারণেই যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য এখন থেকেই জোর দিচ্ছে। তাই এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। গগনযানের যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়গুলি মূলত খতিয়ে দেখা হবে। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে খুব তাড়াতাড়ি মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করবে। ক্রু মডিউল মহাকাশযান থেকে আলাদা হবে পৃথিবী কক্ষপথ থেকে ১৭ কিলোমিটার ওপরে। প্রকল্পের নিরাপত্তায় জোরদার করার জন্য বারবার পরীক্ষা করা হচ্ছে। শ্রীহরিকোটা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের মধ্যে পড়বে মডিউলটি। ফ্লাইট টেস্টের সময় কীরকমভাবে কাজ করে ক্রিউ মডিউল তা বিশ্লেষণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।