সংক্ষিপ্ত

এবার একই মিশনে দুটি ভিন্ন স্যাটেলাইটকে, দুটি ভিন্ন কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করার নজির গড়লো ইসরো।পৃথিবী পর্যবেক্ষক স্যাটেলাইট, 'ওশেনস্যাট ৩' ও আটটি গ্রাহক স্যাটেলাইটকে একসঙ্গে নিয়ে গিয়ে দুটিকে ভিন্ন কক্ষপথে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করল ইসরো

ফের মহাকাশ গবেষণায় মাইল ফলক স্থাপন ইসরোর। পূর্বে 'মিশন মঙ্গল' থেকে শুরু করে সবচেয়ে কম খরচে চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ -একাধিক মহাকাশ গবেষণায় অসাধ্যসাধন করেছে ভারতবর্ষের এই মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা। এবার একই মিশনে দুটি ভিন্ন স্যাটেলাইটকে, দুটি ভিন্ন কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করার নজির গড়লো ইসরো।

সূত্রের খবর শনিবার ইসরো একটি পৃথিবী পর্যবেক্ষক স্যাটেলাইট, 'ওশেনস্যাট ৩' ও আটটি গ্রাহক স্যাটেলাইটকে একসঙ্গে নিয়ে গিয়ে দুটিকে ভিন্ন কক্ষপথে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ভারতীয় সময় ১১ তা ৫৬ তে এটি লঞ্চপ্যাড থেকে প্রথম যাত্রা শুরু করে মহাকাশে । এই লঞ্চের পর মহাকাশবিজ্ঞানীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে এটি একটি নিখুঁত লঞ্চ। যদিও আবহাওয়া মেঘলা থাকায় এই নিখুঁত লঞ্চের আস্বাদন পুরোপুরি করতে পারেননি দর্শকরা।

ইসরো সূত্রে খবর, এই স্যাটেলাইটগুলিকে বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন কক্ষে স্থাপন করার জন্য বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন বিশেষ কৌশল। এবং কৌশল যাতে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হতে পারে তার জন্যও তারা নিয়েছিলেন বিশেষ প্রস্তুতি। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে এটিই ছিল ইসরো দ্বারা পরিচালিত দীর্ঘতম মিশনগুলির মধ্যে একটা। এই মিশনের মোট সময়কাল ছিল ২ ঘন্টা।

ওশানস্যাট সিরিজের উন্নততম স্যাটেলাইট ইওএস ০৬ কে ৭৪২ কিলোমিটার উচ্চতায় একটি কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এটি লঞ্চপ্যাড থেকে যাত্রা শুরুর ১৭ মিনিটের মধ্যেই এটিকে কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করা হয়। এবং শেষ স্যাটেলাইটটি ৫২৮ কিলোমিটার উচ্চতার একটি কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করা হয়।

ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন ,' প্রাথমিকভাবে উপগ্রহগুলিকে সফলভাবেই উৎক্ষেপণ করা হলেও মিশনটি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। আটটি উৎক্ষেপিত উপগ্রহ তাদের উপরের স্তরগুলির সঙ্গে কখন কক্ষ পরিবর্তন করবে। তবে কখন এটি হবে তার অপেক্ষায় আছি আমরা। '

মিশন পরিচালক এস আর বিজু বলেন, 'সবেমাত্র মিশনের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে।'

ওশেনস্যাট ৩ উপগ্রহটি ২০০৯ এর সেপ্টেম্বরে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল। এই স্যাটেলাইট প্রধানত বিশ্ব মহাসাগরগুলিকে কভার করার জন্য এবং বায়ুর বহতা নির্ণয় করা এবং নিম্ন বায়ুমণ্ডল এবং আয়নোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যে পর্যবেক্ষণ করা ও সমুদ্রের রঙ সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণার জন্য বিশেষত আবিষ্কৃত হয়েছিল। এবং পরবর্তীকালে সমুদ্রের রঙ সংক্রান্ত ডেটা, সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা এবং বায়ু ভেক্টর ডেটা, সমুদ্রবিদ্যা, জলবায়ুবিদ্যা এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত অ্যাপগুলিতে এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করার একটি বিশেষ পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রধানত ক্লোরোফিল বিতরণ, সমুদ্রের রঙের ছবি এবং তেল ছিটানোর মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গবেষণার কাজে বিশেষ সহায়তা করবে।

আরও পড়ুন

ভূমিধসে লন্ডভন্ড ইতালির সবথেকে সুন্দর দ্বীপ ইসচিয়া, নিহত ৮ ,নিখোঁজ ১৩

সভা চলাকালীনই আচমকা বেগুনি হয়ে গেল রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের হাত! কি হল ভ্লাদিমির পুতিনের

বড়সড় নাশকতার ছক ফাঁস, জম্মু কাশ্মীরে যাত্রীবাহী বাস থেকে উদ্ধার শক্তিশালী বিস্ফোরক