সংক্ষিপ্ত

সূত্রের খবর মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এই তল্লাশি। দুই ডজনেরও বেশি এলাকায় তল্লাশি অভিয়ানে নেমেছে আয়কর দফতর। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, গ্রেটার নয়ডা, কলকাতা, গুয়াহাটি, ইন্দোরসহ গোটা দেশের প্রায় ২৪টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালান হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

চিনা মোবাইল কোম্পানিগুলির (Chinese Modile Company) বিরুদ্ধে একটি বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর বুধবার আয়কর বিভাগ (Income Tax) সারা দেশে শীর্ষ স্থানীয় চিনা মোবাইল কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে একটি অভিযান চালায়। মোবাইল কোম্পানি অপ, এক্সোমি, ওয়ান প্লাস - মত শীর্ষ স্থানে থাকা মোবাইল সংস্থার বিরুদ্ধেও অভিযান চালান হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের খবর। 

সূত্রের খবর মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এই তল্লাশি। দুই ডজনেরও বেশি এলাকায় তল্লাশি অভিয়ানে নেমেছে আয়কর দফতর। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, গ্রেটার নয়ডা, কলকাতা, গুয়াহাটি, ইন্দোরসহ গোটা দেশের প্রায় ২৪টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালান হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

চিনা মোবাইল সংস্থার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ফিনটেক কোম্পানির বিরুদ্ধেও তল্লাশি অভিযান চালায় আয়কর দফতর। সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের এই তল্লাশি অভিযানের সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

চিনা মোবাইল সংস্থাগুলি একটি বড় অঙ্কের টাকা করফাঁকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনার তদন্তে নামে আয়কর বিভাগ। সূত্রের খবর সংস্থার দীর্ঘদিন ধরেই চিনা মোবাইল সংস্থাগুলিকে ব়্যাডারের তলায় রেখে নজরদারী চালাচ্ছিল। তাতেই দেখা দেখা যায় চিনা মোবাইল কোম্পানিগুলি একটি বড় অঙ্কের টাকা কর ফাঁকি দিচ্ছে । তারই সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমান হাতে পাওয়ার পরেই আয়কর দফতর অভিযান চালায়। সূত্রের খবর প্রচুর পরিমাণের ডিজিটাল ডেটার প্রমাণ পাওয়া গেছে যা কর ফাঁকির নির্দেশ করে। 

এর আগে চিনা সরকার নিয়ন্ত্রিত টেলিকম বিক্রেতা ডেডটিই-কে  অনুসন্ধান করা হয়েছিল। জেডটিই -এর পাঁচটি প্রাঙ্গনে তল্লাশি চালান হয়েছিল। যার মধ্যে তাদের কর্পোরেট অফিস, বিদেশি পরিচালকের  বাসভবন, কোম্পানি সচিবের বাসভবন, কোম্পানি সচিবের বাসভবন, অ্যাকাউন্টের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি ও কোম্পানির নগদ হ্যান্ডেলারদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

জিটিই-তে অনুসন্ধানের সময়  বিক্রয় বিলের পাল্টা আমদানি বিলের পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায় যে সরঞ্জামের লেনদেনের আনুমানিক ৩০ শতাংশ স্থুল মুনাফা ছিল। যদিও কোম্পানিটি বছরের পর ধরে বিলাশ লোকসান করে চলছে বলেও দাবি করে আসছিল। 

তদন্তে আরও জানা গেছে যে কোম্পানির দ্বারা প্রদত্ত পরিষেবার ক্ষেত্রে ভুয়ো খচরের মাধ্যমে লোকসান দেখান হয়েছে। এই ধরনের কিছু প্রাপককে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্য খরচের জন্য বুক করা হয়েছে। এই সংস্থাগুলি তাদের ঠিকানায় অস্তিত্বহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে বলেও জানিয়েছে সূত্র।