- Home
- India News
- 'নিখোঁজ' জগদীপ ধনখড় কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে পেনশন চাইলেন, মুখ ফেরালেন উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে
'নিখোঁজ' জগদীপ ধনখড় কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে পেনশন চাইলেন, মুখ ফেরালেন উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে
শেষ পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া গেল প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের। তিনি রাজস্থান বিধানসভায় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ হিসেবে পেনশনের জন্য আবেদন করেছেন।

জগদীপ ধনখড়ের সন্ধান
শেষ পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া গেল প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের। তিনি রাজস্থান বিধানসভায় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ হিসেবে পেনশনের জন্য আবেদন করেছেন। তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে কেন লক্ষ লক্ষ টাকার পেনশন ছেড়ে ৪৩ হাজার টাকার পেনশনের জন্য আবেদন করেছেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ যেমন ধোঁয়াশায় ভরা তেমনই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হিসেবে পেনশনের আবেদন না করে তিনি বিধায়ক হিসেবে কেন পেনশনের আবেদন করেছেন তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিধায়ক হিসেবে পেনশন
জগদীপ ধনখ়ড়ের হাতেখড়ি কংগ্রেসের হাতধরেই। ১৯৯৩ সাল তেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি রাজস্থানের আজমেঢ় জেলার কৃষ্ণনগর বিধানসভার কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন। পরবর্তীকালে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু এতদিন পরেই তিনি সেই কংগ্রেস যোগই কাজে লাগাতে চাইছেন।
পেনশনের আবেদন
রাজস্থান বিধানসভার সচিবালয় সূত্রের খবর, জগদীপ ধনখড় বিধায়ক হিসেবে পেনশনের আবেদন করেছেন। তারা সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন। পেনশন চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৩৫ হাজার টাকা পেনশন পাওয়ার কথা তাঁর। তাঁর ৭০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত ২০%। সেই সূত্র ধরেই মোট ৪২ হাজার টাকা প্রতিমাসে পেনশন পাবেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবেই পেনশনের যোগ্য
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হিসেবেই জগদীপ ধনখড় পেনশনের যোগ্য। নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনও উপরাষ্ট্রপতি ২ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেন তাহলে মাসিক ২ লক্ষ টাকা করে পেনশন পাওয়ার কথা তাঁর। তবে শুধু পেনশন নয়, সঙ্গে আরও একগুচ্ছ সুবিধে পাওয়ার কথা। যার মধ্য়ে রয়েছে টাইপ ৮ বাংলো, বিনামূল্য় বিমান ও রেল সফরের সুবিধে, বিনামূল্যে ইলেকট্রিসিটি ও ফোনের সুবিধে, বিনামূল্যে চিকিৎসা। ব্যক্তিগত চিকিৎসকও পাওয়ার কথা। কিন্তু সেই সব সুবিধে হেলায় হারালেন ধনখড়।
কেন এমন পদক্ষেপ?
কিন্তু প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি কেন এমন পদক্ষেপ করেছেন? তার কোনও উত্তর নেই। বাদল অধিবেশ শুরুর দিনেই অধিবশেন শেষে হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেন জগদীপ ধনখড়। তারপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না। বিরোধী দবলনেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে কপিল সিবাল সকেই ধনখড়়ের নিখোঁজ হওয়ার বিষয় সরব ছিলেন। কিন্তু কোনও উত্তর দেয়নি বিজেপি। এই পরিস্থিতিতেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে পেনশনের জন্য আবেদন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছেন অনেকে।

