সংক্ষিপ্ত
ওই জঙ্গিকে বাবর নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। সে জইশ ই মহম্মদের সক্রিয় সদস্য বলে জানা গিয়েছে।
জম্মু কাশ্মীরের কুলগামে(Kulgam district) ভারতীয় সেনার এনকাউন্টারে (encounter) খতম হওয়া জঙ্গি আসলে পাকিস্তানি নাগরিক (Pakistani national)। ২০১৮ সাল থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় একাধিক নাশকতা চালিয়েছে ওই জঙ্গি। এমনই প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেল ভারতীয় সেনা। ওই জঙ্গিকে (terrorist) বাবর (Babar) নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। সে জইশ ই মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed) সক্রিয় সদস্য বলে জানা গিয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে শোপিয়ান ও কুলগামের বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁটি তৈরি করেছিল এই জঙ্গি।
বৃহস্পতিবার কাশ্মীর জোন পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানান, জঙ্গির কাছ থেকে একটি একে রাইফেল, একটি পিস্তল এবং দুটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন কুলগাম এনকাউন্টারে নিহত JeM সন্ত্রাসীকে বাবর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি AK রাইফেল, একটি পিস্তল এবং দুটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
কাশ্মীরে যৌথবাহিনীর হাতে খতম তিন জঙ্গি। জম্মু ও কাশ্মীরের বুদগাম জেলায় (Jammu and Kashmir's Budgam) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে একটি এনকাউন্টারে তিন জঙ্গিকে (Three Jaish terrorists) খতম করা হয়েছে। এনকাউন্টারে নিহত তিন জঙ্গিই জইশ-ই-মহম্মদ (জেএম) এর সাথে যুক্ত ছিল। এক জঙ্গিকে ওয়াসিম বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সে শ্রীনগরের বাসিন্দা বলে খবর।
এর আগে, বুধবার, জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলার পারিওয়ান এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে একটি এনকাউন্টার শুরু হয়। বুধবার রাতে, বিজয় কুমার জানিয়েছিলেন যে অভিযানের সময় একজন পুলিশ কর্মী এসজিসিটি রোহিত চিব শহীদ হয়েছেন, এবং তিন সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন। অভিযানের সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে দুজন সামান্য আহত হয়েছেন। কাশ্মীরের আইজিপি বলেন, ২০২২ সালে এখনও পর্যন্ত মোট ১১ জন জঙ্গিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
৬ই ডিসেম্বর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ), মুজাহিদিন গাজওয়াতুল হিন্দ (এমজিএইচ) এর দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে। লস্কর-ই-তইবা(এলইটি) এবং জইশ-ই-মহম্মদ (জেএম) এর শাখা। শ্রীনগরের বারজুল্লা ব্রিজের কাছে এদের গ্রেফতার করা হয়।
২০২২ সালের পঞ্চম দিনে পঞ্চম এনকাউন্টার হয় কাশ্মীরের পুলওয়ামায় (Pulwama)। মেলে দারুণ সাফল্য। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের করা টুইটে জানা যায় বুধবার দিনের আলো ফোটার আগেই শুরু হয় এনকাউন্টার। যৌথবাহিনীর হাতে খতম হয় তিন জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১৩৮ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। এরই সঙ্গে সাধারণ নাগরিক হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই খতিয়ান যে নিঃসন্দেহে সাফল্যের তা বলার অপেক্ষা রাখে না।