সংক্ষিপ্ত

হরিয়ানার আম্বালার রেডমির চার্চের ফাদার জানিয়েছেন এই চার্চটি আম্বালার পুরনো চার্চগুলির একটি। এটি স্থাপন করা হয়েছিল ১৮৪০ সালে।  যীশুর মূর্তিটিও প্রচীন একটি নিদর্শন ছিল। এর আগে এজাতীয় ঘটনা কোনও দিন ঘটেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। 
 

আবারও চার্চে (Charch) হামলার ঘটনা ঘটল। এবার দুষ্কৃতীরা টার্গেট করল বড়দিনকে (Christmas)। হরিয়ানার (Haryana) আম্বালায় একটি চার্চে বড়দিনের রাতে যীশু খ্রিস্ট্রের একটি মূর্তি (Jesus statue) ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ। কিন্তু দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে পারেনি। তবে হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ সূত্রের খবর চার্চটি বহু পুরনো। এটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল। 

হরিয়ানার আম্বালার রেডমির চার্চের ফাদার জানিয়েছেন এই চার্চটি আম্বালার পুরনো চার্চগুলির একটি। এটি স্থাপন করা হয়েছিল ১৮৪০ সালে।  যীশুর মূর্তিটিও প্রচীন একটি নিদর্শন ছিল। এর আগে এজাতীয় ঘটনা কোনও দিন ঘটেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

হরিয়ানার মন্ত্রী জানিয়েছেন দুই ব্যক্তি পাঁচিল টপকে চার্চের অন্দরে প্রবেশ করে। তাদের ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। সিসিটিভি ফুটেজে থেকেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার  করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

হরিয়ানা সদর থানা স্টেশন হাউসের অফিসার নরেশ জানিয়েছেন, দুইজন মানুষ ২৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে বারোটার সময় প্রাচীর টপকে চার্চে প্রবেশ করে। প্রায় একঘণ্টা পরে রাত ১টা ৪০ মিনিটে যীশুখ্রিস্টের মূর্তি ভাঙচুর করে। পুলিশ সূত্রের খবর, ক্রিসমাস পার্টি শেষ হয়েছিল, সাড়ে ৯টা নাহাদ। ১০ থেকে ভক্ত ও দর্শনার্থীরা চার্চ থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করেছিল। সাড়ে ১০টা নাগাদ চার্চ ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল।  তবে কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা এখনও জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্যেই একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে ক্রাইম ইনভেন্টিগেশন এজেন্সির হাতে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হরিয়ানার একটি স্কুলেও বাধা দেওয়া হয়েছে ক্রিসমাস কার্নিভালে। 

সম্প্রতি ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা ক্রমশই বেড়েছে। দেশের একাধিক জায়গায় গির্জায় হামলা হয়েছে।  বাধা দেওয়া হয়েছে ক্রিসমাস উদযাপনে। যার আঁচ পড়েছে এই বাংলাতেও। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে বেশ কয়েকটি পোস্টারও পড়েছে। যেখানে হিন্দুদের উদ্দেশ্যে ক্রিসমাস উদযাপনে সামিল হতে নিষেধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে মন্দিরে গিয়ে নিজের ধর্ম পালন করতে। ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রাখতে ইতিমধ্যেই কর্ণাটকের বিজেপি সরকার ধর্মান্তকরণ বিরোধী বিলপাশ করেছে বিধানসভায়।  ধর্মীয় সম্প্রতি বাজায় রাখতে একাধিক পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। 

AFSPA: প্রত্যাহার করা হতে পারে আফস্পা, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর নাগাল্যান্ডের দাবি

মন্ত্রীর কোপে এবার সানি লিয়েন, 'মধুবন মে রাধিকা' মিউজিক ভিডিও প্রত্যাহারের জন্য তিন দিন সময়সীমা

বেলুড় মঠে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১২৫তম বর্ষ উপলক্ষ্য়ে