সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের উদয় মন্দির, নাগোরি গেট, খন্ডা ফলসা, প্রতাপ নগর, দেব নগর, সুর সাগর এবং সর্দারপুরা থানার সীমানার মধ্যে থাকা সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে চৌঠা মে মধ্যরাত পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
রাজস্থানের যোধপুরে ইদের উৎসবে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। রাজ্যের স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পরে সবাইকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন রাজ্যে ভাতৃত্বের পরিবেশ বজায় রাখা উচিত। সবাইকে সেই চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন "আমি শান্তি বজায় রাখার জন্য জনগণের কাছে আবেদন করতে চাই। এই ধরনের উত্তেজনা যোধপুরের জনগণের জন্য ভাল নয়। প্রত্যেকের বোঝা উচিত যে আমাদের ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে হবে," তিনি আরও বলেন, অসামাজিকদের কঠোরভাবে মোকাবেলা করতে তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ৭১ বছর বয়সী গেহলট তার জন্মদিনের যাবতীয় অনুষ্ঠান বাতিল করেন। এরই সঙ্গে রাজ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মোকাবিলায় একটি উচ্চ স্তরের নিরাপত্তা বৈঠকের আহ্বান করেন। কেন্দ্রের মন্ত্রী ও যোধপুরের সাংসদ গজেন্দ্র শেখাওয়াত গোটা ঘটনার কড়া নিন্দা করে জানান রাজস্থানের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার চরম অবনতি ঘটেছে।
অন্যদিকে, রাজস্থানের বিকানেরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন রাম মেঘওয়াল এই হিংসাত্মক সংঘর্ষের জন্য রাজ্যের অশোক গেহলটের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করেছেন। মেঘওয়াল বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রীর উচিত এই ঘটনার দায় নেওয়া এবং অবিলম্বে পদত্যাগ করা। কারণ তিনি রাজ্যে স্বরাষ্ট্র বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন।" এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপি রাজস্থান জুড়ে একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের উদয় মন্দির, নাগোরি গেট, খন্ডা ফলসা, প্রতাপ নগর, দেব নগর, সুর সাগর এবং সর্দারপুরা থানার সীমানার মধ্যে থাকা সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে চৌঠা মে মধ্যরাত পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে যোধপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় রাজস্থান পুলিশ তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে।
উল্লেখ্য, জালোরি গেট এলাকায় ধর্মীয় পতাকা উত্তোলকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ বেধে যায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে। সোমবার রাত থেকেই বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। তেমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় ইদের নামাজ পরা হয়ে। রাজস্থানে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তবে এখনও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিরাপদ নয় বলেও জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
যোধপুর পুলিশ জানিয়েছে, একদিকে ইদ পালন করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজস্থানে তিন দিন ধরে পরশুরাম জয়ন্তীর উৎসবও চলছে। ধর্মীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বচসা বেধে যায়। সেখান থেকেই শুরু হয় সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটিয়ে, লাঠি চার্জ করে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে যোধপুরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
ডিজিটাল পেমেন্টের সাফল্য নিয়ে জার্মানিতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের সমালোচনা, যুদ্ধের বিরোধিতা করলেন মোদী
ইদের নামাজে রেড রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বললেন ধর্মের নামে দেশকে টুকরো টুকরো করা চলবে না
মহিলা সংক্রান্ত বিবাদ, তাই কি এক পরিবারের তিন সদস্যকে গলার নলি কেটে খুন