সংক্ষিপ্ত
ক্রমেই বসে যাচ্ছে যশীমঠের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, দোকানপাট। ভবিষ্যতে মানচিত্র থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে যাবে এই জনপদ। সূত্রের খবর গত ১২ দিনে ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে যোশীমঠ।
ভারতের মানচিত্র থেকে মুছে যেতে বসেছে যোশীমঠ। সম্প্রতি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর রিপোর্ট থেকে এমন কথাই জানা যাচ্ছে। ইসরোর প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে গত ১২ দিন ধরেই শুরু হয়ে গিয়েছে যোশীমঠের ধসে যাওয়ার প্রক্রিয়া। যে দিকে পরিস্থিতি এগোচ্ছে তাতে যশীমঠকে বাঁচানোর আর বিশেষ সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরাও। ক্রমেই বসে যাচ্ছে যশীমঠের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, দোকানপাট। ভবিষ্যতে মানচিত্র থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে যাবে এই জনপদ। সূত্রের খবর গত ১২ দিনে ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে যোশীমঠ।
ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের প্রকাশিত একটি স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই যশীমঠের ধসের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যেই ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছিল যশীমঠের মাটি। গত ৫ জানুয়ারি থেকেই যশীমঠের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। দ্রুত বিপজ্জনক বাড়ি ও হোটেলগুলিকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তও হয়েছিল। এরপরই সামনে আসে ইসরোর এই উপগ্রহ চিত্র। এই চিত্র পর্যালোচনা করে ইসরোর পক্ষ থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ভবিষ্যতে গোটা জনপদটিই মুছে যেতে বসেছে মানচিত্র থেকে।
গত মঙ্গলবার রাত থেকে ফের নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে গান্ধীনগর ও পালিকা মাড়োয়ারি এলাকা। গান্ধীনগরের ১৩৪ টি ও পালিকা মাড়োয়ারির ৩৭টি বাড়ি রয়েছে বিপজ্জনক বাড়ির তালিকায়। এছাড়াও নিম্নবাজারে ৩৪টি, সিংহধরে ৮৮টি, মনোহরবাগে ১১২টি, আপার বাজারে ৪০টি, সুনীল গ্রামে ৬৪টি, পারাসারিতে ৫৫টি ও রবিগ্রামে ১৬১টি বাড়িকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই যোশীমঠের ২০০টি বাড়িতে টাকা চিহ্নিত হয়েছিল। কারণ এই বাড়িগুলি যে কোনও সময়ই ভেঙে যেতে পারে। সংশ্লিষ্টবাড়িগুলি বাসের অযোগ্য বলেও জানিয়েছেন তিনি। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আগামী ৬ মাসের জন্য প্রতিটি ঘরছাড়া পরিবারকে ৪ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার ৬ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত বদ্রীনাথ ও হেমকুণ্ড সাহিব যাওরা পথেই পড়ে যোশীমঠ। এই শহর উচ্চ - ঝুঁকিপূর্ণ 'Zone-V' পড়ে। সিসমিক হ্যাজার্ড জোন নামেও এটি পরিচিত। কারণ এখানেই রয়েছে বিপদের স্তর। কারণ এটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা।
আরও পড়ুন -
ঘন কুয়াশায় ঢাকল রাজধানীর আকাশ, দৃশ্যমানতা কম থাকায় ব্যহত বিমান পরিষেবাও