সংক্ষিপ্ত
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গেছে এক ব্যক্তিকে পুলিশ ইন্সপেক্টর মারছেন। সেই ব্যক্তির কোলে রয়েছে একটি শিশু। আক্রান্ত ব্যক্তি বারবার পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁর কোলের শিশুটিকে যেন মারধার না করা হয়।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তর প্রদেশের পুলিসের একটি ভাইরাল হওয়ার ভিডিও (Viral Video) আবারও অস্বস্তি বাড়াল যোগী আদিত্যনাথ সরকার (Yogi Aditya Nath Govt)। যদিও পরিস্থিতি সামলানোর জন্য তড়িঘড়ি সাসপেন্ড করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ (Police) আধিকারিক বিনোদ কুমার মিশ্রকে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গেছে একটি শিশুকে কোলে নিয়ে এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। সেই সময় সেই ব্যক্তিকে লাঠিপেটা করছেন পুলিশ ইন্সপেক্টর বিনোদ কুমার মিশ্র।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গেছে এক ব্যক্তিকে পুলিশ ইন্সপেক্টর মারছেন। সেই ব্যক্তির কোলে রয়েছে একটি শিশু। আক্রান্ত ব্যক্তি বারবার পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁর কোলের শিশুটিকে যেন মারধার না করা হয়। শিশুটির আঘাত লাগলে সে মারা যাবে এমন আবেদনও করা হয়েছিল। পাল্টা পুলিশ আধিকারিক তাতে খান্ত না হয়ে সেই ব্যক্তিকে মারধর করছিল। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরই উত্তর প্রদেশ পুলিশকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাসপেন্ড করা হয় বিনোদ মিশ্রকে। বিনোদ মিশ্র কানপুর জোনের এডিজি ছিলেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছেন আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার ভাই একটি হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছিল। পরিস্থিতি সামাল দিয়েই স্থানীয় পুলিশকে হাতে লাঠি তুলে নিতে হয়।
ভাইরাল হওয়ার ভিডিওটি নিজের টুইটাল হ্যান্ড থেকে শেয়ার করেছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীও। তিনিও বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি সরকারের। তিনি বলেছেন, দুর্বলদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী আইনশৃঙ্খলার প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্কলার ব্যবস্থায় আইনের ভয় দেখানো যেতে পারে। কিন্তু পুলিশকে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। এক্ষেত্র তার উল্টো হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
সম্প্রতি একটি হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠি চার্ড করে বলে অভিযোগ উঠেছিলে। এই ভিডিওটি সেই ঘটনার বলেও দাবি করা হয়েছে। একটি হাসপাতালের নির্মাণ কাজ চলছে। তারই ধুলো ময়লা উড়ে যাচ্ছে পাশের এলাকায়। তাতেই কর্মচারীরা বারবার আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ না হওয়ায় তারা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। হাসপাতালের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান হয়। অসুস্থদেরও হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রজনীশ নামে একটি কর্মীকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। এসডিএম অবশ্য বলেছেন হাসাপাতালে কোনও লাঠি চার্জের ঘটনা ঘটেনি। হাসপাতাল প্রশাসন জানিয়েছে রোগীদের সঙ্গে কর্মীদের ঝামেলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের অনড় মনোভাবের জন্যই লাঠি চার্জ করা হয়েছিল।
CDS Bipin Rawat: শনিবার রীতি মেনে গঙ্গায় অস্থি বিসর্জন, থাকবেন পরিবারের সদস্যরা
Goa Congress: দলের ভাঙন কি রুখতে পারবেন প্রিয়াঙ্কা, তাঁর সফরের মাঝে ইস্তফার হিড়ক গোয়া কংগ্রেসে
Ranjan Gogoi: অযোধ্যা মামলা থেকে যৌন হয়রানি, নিজের বইতে আলোকপাত বিচাপতি রঞ্জন গগৈয়ের