সংক্ষিপ্ত
কর্ণাটকের ভোট গ্রহণ শেষ। এবার জনমত বাক্স বন্দি। এই অবস্থায় দেখেনি কী বলছে এশিয়ানেট সুবর্ণা নিউজের বুথ ফেরত সমীক্ষা। কারা কর্ণাটকে আগামী পাঁচ বছর রাজ করবে।
এশিয়ানেট সুবর্ণা নিউজের বুধ ফেরত সমীক্ষায় বলা হয়েছে, টানা দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি। তবে এবার কংগ্রেস আর বিজেপির আসনের ফারাক খুব বেশি থাকবে না। দ্বিতীয় স্থানে থাকবে কংগ্রেস। আর তৃতীয় স্থানে জনতা দল সেকুলার। বুধবার ১০ মে কড়া নিরাপত্তায় কর্ণাটক বিধানসভার ২২৪টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি ছাড়া মোটের ওপর কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ। কর্ণাটকে এবার ত্রিমুখী লড়াই। একদিকে রয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস ও স্থানীয় রাজনৈতিক দল জেডিএস। রাজ্যে ৫৮ হাজার ৫৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ৫.৩১ কোটি ভোটার । কর্ণাটকে ২৬১৫ প্রার্থীর মধ্যে পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা ২৪৩০ ও মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ১৮৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কর্ণাটকে তরুণ ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষেরও বেশি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৪ লক্ষেরও বেশি পোলিং কর্মী ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করবেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে সুস্ঠু নির্বাচনের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ৮৪ হাজারেও বেশি পুলিশ, ৫৮ হাজারের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান, মোতায়েন রয়েছে।
আসুন এক নজরে দেখেনি বিজেপি কংগ্রেস আর জনতা দল সেকুলার কতগুলি করে আসন পেতে পারেঃ
এশিয়ানেট সুবর্না নিউজের বুথ ফেরত সমীক্ষা
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১০৪টি আসন। বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, কিন্তু ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। কংগ্রেসের দখলে ছিল ৮০টি আসন। জেডিএস পেয়েছিল ৩৭টি আসন। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের পর কর্ণাটক বিধানসভার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল অনেক ঝড়। কংগ্রেস-জেডিএস জোট বেঁধে সরকার গঠনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই সময় বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসেব দাবি করে কর্ণাটকে সরকার গঠন করে। কিন্তু আস্থা ভোটের আগেই সরকার ভেঙে দেয়। সেই সময় বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। তারপর কংগ্রেস -জেডিএস সরকার গঠন করে, মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এইচডি দেবে গৌড়া। ১৪ মাস তারা সরকার চালিয়েছিল। তরপরই শুরু হয় দলবদলের খেলা। দুই দলের ১৭ জন বিধায়ক দল ত্যাগ করে বিজেপিতে চলে যায়। তারপর কুমারস্বামীর সরকার পড়ে যায়। বিজেপি সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করে সরকার গঠন করে। তারপর টানা তিন বছর বিজেপির সরকার কর্ণাটকে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত কর্ণাটক বিধানসভায় বিন্যাস ছিল অনেকটা এই রকমঃ
বিজেপি-১১৬
কংগ্রেস -৬৯
জেডি(এস)২৯
বিএসপি-১
নির্দল ২
আসন খালি-৬