সংক্ষিপ্ত
এশিয়ানেট নিউজ ডিজিটাল সার্ভে পিপলস চয়েসে দেখা গিয়েছে যে ৩৫ লক্ষ মানুষ এতে অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে ৫২ শতাংশ মানুষই কর্ণাটকের বাসিন্দা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এশিয়ানেট নিউজ ডিজিটাল সার্ভে পিপলস চয়েসের বিন্যাসকে।
কর্ণাটক নির্বাচন কংগ্রেসের কাছে অনেকটাই অগ্নিপরীক্ষা। কারণ, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের কোনও ইমেজ রক্ষাই হয়নি। এমনকী সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফলও কংগ্রেসের পক্ষে সহায়ক হয়নি। এমতাবস্থায় কর্ণাটকের নির্বাচন কংগ্রেসের কাছে বলতে গেলে লিটমাস পরীক্ষা। কারণ গত নির্বাচনে বিজেপি-র ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলেছিল কংগ্রেস। আর সেই সুবাদে জেডিএস-এর সঙ্গে জোট বেধে সরকারও গড়েছিল। কিন্তু, সেই সরকার থেকে বিধায়করা বেরিয়ে গিয়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ায় বর্তমানে বিজেপি-র সরকার কর্ণাটকে।
কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে কর্ণাটক কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় মাথা। এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতির আঙিনায় কংগ্রেস নেতৃত্ব নিয়ে যে সঙ্কটে পড়ে আছে তাতে খাড়গের উপরে অনেকটাই নির্ভরতা রয়েছে। এমন এক সময়ে কর্ণাটকে কংগ্রেস যদি কোনওভাবে খারাপ ফল করে তাহলে খাড়গে নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। তাই রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে নির্বাচনে ফায়দা তুলতে মরিয়া কর্ণাটক কংগ্রেস। তারমধ্যে সুরাট আদালতের রায়ে পদবী বিতর্কে এখন দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাংসদ পদ হারিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এই নিয়ে কংগ্রেস প্রতিহিংসা রাজনীতির ধূয়ো তুলে বিজেপি-কে আক্রমণ করেছে। যার জন্য এশিয়ানেট নিউজ ডিজিটাল সার্ভে তার এই সমীক্ষাতেও রাজনীতির যাবতীয় খুঁটিনাটি যা কর্ণাটক নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে তাকে ঘিরেই প্রশ্ন তৈরি করেছিল।
রাহুল না মোদী- কে হতে পারেন ফ্যাক্টর?
এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে কন্নড়ে সমীক্ষায় অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ মনে করছেন যে কর্ণাটক নির্বাচনে রাহুল গান্ধী ইস্যু কংগ্রেসকে ভোটে জেতাবে না। আর ৫৮ শতাংশ মনে করছেন যে নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনে ফ্যাক্টর তৈরি করবেন। যা বিজেপি-কে নির্বাচনে জয় পেতে সাহায্য করবে।
ইংরাজিতে এই প্রশ্নে দেখা গিয়েছে যে ৫০ শতাংশ মানুষ মনে করছেন যে নির্বাচনে রাহুল গান্ধী কোনও ফ্যাক্টরই হবে না, যা কংগ্রসকে ভোট জেতানোর জন্য সাহায্য করতে পারে। অন্যদিকে, ৪৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী আবেগ বিজেপি-কে জয় পেতে সাহায্য করবে।
কর্ণাটক নির্বাচনে যে ইস্যুগুলো প্রভাব ফেলতে পারে
সংরক্ষণ-- এশিয়ানেট নিউজ ডিজিটাল সার্ভেতে দেখা যাচ্ছে যে কন্নড়ি-তে উত্তর দেওয়াদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ মনে করছে যে বর্তমান সরকার এসসি ও এস টি-দের মধ্যে যে এক নতুন সমান্তরাল সংরক্ষণ নীতি চালু করেছে তাতে সমাজের নিচুতলায় আরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। আর এই ধারাতে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ২১ শতাংশ মনে করছে যে এই সমান্তরাল সংরক্ষণী নীতি কোনওভাবেই কাজ করবে না। এই ইস্যুতে ইংরাজিতে যারা নিজের মত করেছেন তারমধ্যে ৫৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে বর্তমান সরকার এসসি ও এস টি-দের মধ্যে যে এক নতুন সমান্তরাল সংরক্ষণ নীতি চালু করেছে তাতে সমাজের নিচুতলায় আরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। আর ২২ শতাংশ মানুষ এই ধারাতে জানিয়েছেন যে এই নীতি কাজ করবে না।
আরও পড়ুন---
Asianet News Digital Survey: ভোটের আগে জনমত সংগ্রহ, কী বলছে এশিয়ানেট নিউজ ডিজিটাল সার্ভে পিপলস চয়েস
একি কাণ্ড! অমিত শাহ-র রোড শো বাতিল হতেই আপেলের মালা থেকে আপেল নিয়ে দে দৌড়!
মোদীই তাঁর ঈশ্বর, নিজের জামা দিয়ে মুছে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাট আউট, দেখে নিন মন ছুঁয়ে যাওয়া ভিডিও