সংক্ষিপ্ত
- সারা দেশ জুড়ে সাড়ম্বড়ে পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী
- এবার গণেশ বন্দনাতেও পরিবেশ সচেতনতা
- পরিবেশবান্ধব মূর্তি গড়ে তাক লাগালেন কর্ণাটকের এই শিল্পী
- কাগজের মন্ড ও ফলের বীজ তাঁর মূূর্তির অন্যতম উপকরণ
সারা দেশ জুড়ে সাড়ম্বড়ে পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী। মূলত মহারাষ্ট্রে খুব বড় করে গণেশ চতুর্থী পালন করা হলেও বর্তমানে দেশের কোণায় কোণায় আজ মানুষ গণেশ বন্দনায় সামিল হয়েছেন। এই পুজো ঘিরে একদিকে উন্মাদনা যখন তুঙ্গে, তখন, কর্ণাটকের এক কারিগর তাক লাগালেন পরিবেশ বান্ধব গণেশ তৈরি করে।
কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরু নীতিন ভজ নামে এক মূর্তি কারিগর কাগজের মণ্ড এবং বীজ দিয়ে তাঁর হাতের জাদুতে তৈরি করেছেন এক পরিবেশ বান্ধব গণেশ মূর্তি। যার প্রধান আকর্ষণ হল এই যে মূর্তিগুলি বিসর্জনের পর, তা মাটি ও জলের সংস্পর্শে এসে গাছ তৈরি হবে। তবে এইসব মূর্তি তৈরিতে তিনি কোনও বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করেননি এমনকী কোনও রঙও ব্যবহার করা হয়নি। বরং এই মূর্তিগুলিতে কেবল ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন সবজী ও ফলের বীজ।
এই অভিনব সৃষ্টির ব্যপারে শিল্পী আরও জানান, মূর্তি তৈরিতে তিনি ব্যবহার করেছেন পুরনো খবরের কাগজের মন্ডও। তাঁর কথায়, এই মূর্তিগুলি জলে বিসর্জন দেওয়ার পর জলের সংস্পর্শে এলেই বীজ থেকে গাছ জন্মাবে।
উচ্চতার নিরিখে রেকর্ড, হায়দরাবাদে তৈরি হল দেশের সবচেয়ে বড় গণেশ মূর্তি
শুভ গণেশ চতুর্থী, গণেশ পুজোর আনন্দে মাতলেন টলিউড সেলেবরা
গণেশের আরাধনায় মাতোয়ারা গোটা দেশ, সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এল সেই ছবি
তবে দুঃখের কথা এই যে, এই পরিবেশ বান্ধব গণেশ মূর্তির চাহিদা ম্যাঙ্গালুরুতে খুব একটা নেই। তাই এই বছর তিনি ৩০-৪০টি মূর্তিই তৈরি করেছেন, তবে তিনি আশাবাদী যে ভবিষ্যতে এইধরণের পরিবেশবান্ধব মূর্তির চাহিদা বাড়বে।